
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু’র বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, একটি দৈনিক পত্রিকার তার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিক হয়েছে তা সমহূ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ,বানোয়াট ও কাল্পনিক। একটি কুচক্রী মহল ও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিছু আওয়ামীলীগের দোষর তাকে রাজনৈতিক ভাবে এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিক ভাবে ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে তার একাধিক গাড়ি তা সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে তার গাড়ি সংখ্যা একটি এবং তিনি প্রথম ২০০৫ সালে একটি গাড়ি ক্রয় করে এবং পরে ২০১৩ সালে ঐ গাড়ি পরিবর্তন করে আরেকটি গাড়ি ক্রয় করে এবং বর্তমানে তিনি সেই গাড়িটি ব্যবহার করছে। এছাড়া তার নামে কোন নিজস্ব গাড়ি নেই। সংবাদে প্রকাশিক যে গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে আগুনে তার গাড়ি পুড়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। প্রকাশিত সংবাদে তার নিকট আত্মীয় নামের গাড়ি ও গাড়ির ব্যবসাকে তার নামে দেখানে হয়েছে। তাও চরম মিথ্যাচার ও বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে তার আত্মায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে তাদের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে। তাই তারা দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত ইতালি এবং সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তার ছেলে বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে কলেজে পড়ালেখা করে তার কোনো ব্যবসা বা ব্যবসায়িক অংশীদার নাই। আমার নামে কোনো ইটভাটাও নাই।’
সংবাদে তার নামে যে চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজির বিষয় উল্লখ করা হয়েছে তাও বানোয়াট ও কাল্পনিক। তিনি ভান্ডারিয়া বা পিরোজপুর সদর এমনকি জেলার কোন স্থানে কোন কাজের টেন্ডারের বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করে নাই।
পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি ও তার অংশ সংগঠনের কমিটি গঠন করা হচ্ছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন প্রকার অনিয়ম বা অর্থনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ দেখা হয়নি কমিটি গঠনে। বিএনপির প্রতি ত্যাগ ও বিগতদিনের রাজনৈতিক ভূমিকার বিচারে এ কমিটি গুলো দেয়া হয়েছে। এছাড়া বহিস্কারের বিষয়ে যে সকল কথা বলা হয়েছে তাও মিথ্যা। যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তা কেন্দ্র থেকে এবং ছাত্রদলের নিজস্ব বিষয়। এই বহিষ্কারেরও তার কোন হস্তক্ষেপ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেণ, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়ার সেতু সংসদ ভবন এলাকা থেকে খুলে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটে। এই সেতু খুলে নেয়ার বিষয়ে তিনি বা তার বড় ভাই কোনোভাবেই জড়িত নয়। কাল্পনিকভাবে এই ঘটনায় তাদের নাম জড়ানো হয়ে। এছাড়াও সংবাদে কিছু মনগড়া ও অনুমান নির্ভর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যা একজন মানুষের মানহানির সামিল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশিক সংবাদটি যে সাংবাদিক প্রকাশ করেছেন তিনি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের সব সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে। এই সংবাদিক বরিশালের ক্রাস সাদিক আব্দুল্লাহর অন্যতম ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় তিনি বরিশাল জেলা ও বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাদের নানা ভাবে হয়রানি করতো। ৫ আগস্টের পরেও তার আচারণ পাল্টাইনি। ফ্যাসিসদের সাথে যোগাযাগ রেখে বরিশাল বিভাগের যে সকল জেলায় বিএনপির ঘাটি শক্তিশালী সেই সকল এলাকার ত্যাগী বিএনপির নেতাদের নামে নানা সময় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধ মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে। যা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আ: ছালাম বাতেন, সদস্য শেখ শহিদুল্লাহ শহী, সদস্য হাসানুল কবির লীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমার সহ জেলা বিএনপির, যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
ইউ