
সংগৃহীত ছবি
জাতীয় পাটির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকবে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে জাতীয় পার্টির কোন আলোচনা হয়নি। মুল আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো কিভাবে ভোটের দিন ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং ভোটের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সর্বশক্তি দিয়ে অংশ নেবে বলেও জানান জাপা মহাসচিব।
চুন্নু বলেন, আ.লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে দর কষাকষিতে নেই জাপা। আমাদের বার্গেনিং একটাই নির্বাচন যেন সুষ্ঠ হয়। ভালো পরিবেশ, বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ, ভোটাররা ভোট দিতে আসার যেন আস্থা পায়। আ.লীগের সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েই কথা হয়েছে। এর বাইরে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আলোচনাটি ভালো পরিবেশে হয়েছে। আওয়ামী লীগেরও মনোভাব ভালো আছে।
জাপা মহাসচিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত ৫ বছরের নির্বাচনে অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এখনো সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে ভয় আছে। তবে দেশের মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন ৯১ সালের মতো নীরব বিপ্লব হয়ে যেতে পারে। আমরা আওয়ামী লীগের কাছে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ চেয়েছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করা জাতীয় পার্টির ইতিহাসে কম। আমরা বুঝি গণতান্ত্রিক ধারাকে বজায় রাখতে হলে নির্বাচন জরুরি। তবে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে জাতীয় পার্টি ভালো করবে। আওয়ামী লীগকে বলেছি নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করতে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সুষ্ঠ ভোটের বিষয়ে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরো বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগের থেকে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট বেশি। নির্বাচনে যদি ভোটাররা আসতে পারে, নীরব ভোট বিপ্লব হবে। এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট আছে বলেই আওয়ামী লীগ আমাদের নিয়ে ভোট করছে। জোট করেছে। এজন্যই আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছি। আওয়ামী লীগ দল যদি গণতান্ত্রিক দল হয় তাহলে তারা সুষ্ঠ নির্বাচন দেবে।
//এল//