
ছবি সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি রাতের আঁধার পেরিয়ে সকালেও অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনভর বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা এসে কর্মসূচিতে যোগ দেন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে ভোর ৫টার পর থেকে লোকসমাগম কমতে শুরু করে।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা করেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। একইসঙ্গে তিনি যমুনার সামনে আন্দোলনের জন্য একটি মঞ্চ তৈরির কথাও জানান। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এই ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, মঞ্চ তৈরির জন্য বাঁশ, কাঠসহ সরঞ্জাম আনা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মিন্টো রোডের পানির ফোয়ারার পাশে ফুটপাতে এসব সরঞ্জাম দেখা যায়।
রাতভর আন্দোলনকারীরা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জবাই কর’; ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’; ‘বিচার কর, করতে হবে’; ‘আওয়ামী লীগের বিচার, করতে হবে করতে হবে’; ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচি ঘিরে যমুনা এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাত ১০টায় হাসনাত আব্দুল্লাহ যমুনার সামনে উপস্থিত হওয়ার পর থেকেই আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হতে থাকেন। রাত পৌনে ১টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতারা মিছিলে অংশ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এছাড়াও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা এবং আপ বাংলাদেশের আলী হাসান জুনায়েদসহ প্রমুখ এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
ইউ