ঢাকা, বাংলাদেশ

শনিবার, , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

English

লাইফস্টাইল

জেনে নিন ইসবগুলের ভুসির যত উপকারিতা

উইমেনআই২৪ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৫ অক্টোবর ২০২৩; আপডেট: ১৯:৫১, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

জেনে নিন ইসবগুলের ভুসির যত উপকারিতা

ইসবগুল,ফাইল ছবি

কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা কষা হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন। এর বাইরেও নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে খাদ্যটির।


ইসবগুল কী

ইসবগুল ‘গুল্ম’ জাতীয় গাছ। এর ফুল ছোট, পাপড়ি সূক্ষ হয়। বীজের খোসা আছে। ইসবগুল গাছের উচ্চতা দেড়-দুই ফুটের পর্যন্ত লম্বা হয়। ফল দুইকোষ বিশিষ্ট, ৭-৮ মিলিমিটার লম্বা হয় এবং ফলের ভিতরে ৩ মিলিমিটার লম্বা বীজ থাকে। বীজ দেখতে নৌকার মতো এবং এর খোসায় পিচ্ছিল হয়। এটা এক ধরনের রবিশস্য। হেমন্তকালে বীজ বপন করা হয়। চৈত্র মাসে ফসল তোলা হয়। ইসবগুল উপমহাদেশের সবাই চেনে। এর নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল।


ইসবগুলের পুষ্টিগুণ

ইসবগুলে রয়েছে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান। সেসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩% ক্যালোরি, ০% ফ্যাট, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে

ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল নরম করে দেয়। ফলে খুব সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ও ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করতে পারেন। কেউ যদি রোগটি পুষে রাখেন, তাহলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ

ডায়রিয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে ইসবগুল। এটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক যা পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে কাজ করে। এদিকে ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়রিয়া দ্রুতই সেরে ওঠে। ডায়রিয়া হলে দিনে দুইবার ভরা পেটে তিন টেবিল চামচ দই ও দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাবেন। ইসবগুলের ভুসি খেলে তা আমাশয় থেকেও আপনাকে মুক্তি দেবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে

ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ ভুসি খুবই উপযুক্ত।

রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে

ইসবগুলের ভুসি খেলে অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

ইসবগুলের ভুসিতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায় হতে পারে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া। এটি পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। যে কারণে অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা পায়। এটি হজম ঠিক রাখার জন্য পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা দুধে দুই চা চামচ ইসবগুল মিশিয়ে খাবেন। এভাবে নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে অনেকের। তাদের ক্ষেত্রে উপকারী একটি খাবার হলো ইসবগুলের ভুসি। এটি নিয়মিত খেলে কমবে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে আখের গুড়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এটি সকাল ও বিকালে খেতে পারেন। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

হার্ট ভালো রাখতে

হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এতে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে এক ধরনের পাতলা স্তর সৃষ্টি করে। যা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়; বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দিতে কাজ করে। ফলে ধমনীতে ব্লক সৃষ্টির ভয় থাকে না।

খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ইসবগুল আপনি পাউডার বা হাস্ক যেভাবেই খান না কেন, বেশ কিছু জার্নালে বলা হয়েছে পাঁচ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত। অর্থাৎ এক থেকে দুই চা চামচ পর্যন্ত সারা দিনে রেকমেন্ডেশন (পরামর্শ) রয়েছে, তবে এটি অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শে হতে হবে।

যারা ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া খাচ্ছেন, তাদের জন্য ফাইভ গ্রাম বা এক চা চামচই যথেষ্ট এবং নিয়ম হচ্ছে আপনাকে ২৪০ মিলিলিটার পানি, অর্থাৎ বড় এক গ্লাস পানির মধ্যে খুব ভালো করে মিলিয়ে এটি খেতে হয়।


ইসবগুল একধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালীন ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে, কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষ তৈরি করে না এবং অন্ত্রের দেয়াল পিচ্ছিল করে দেয়। যেহেতু এটা কার্যকারিতার জন্য অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে, তাই দুই চা-চামচ ভুসি, পানি বা দুধে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলা ভালো। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে।

//এল//

ড. ইউনূসের চিঠি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে

কমিউনিটি রেডিওর কনটেন্ট প্ল্যানিং কর্মশালা

বিএফআইডিসির আধুনিকায়ন ও রপ্তানি সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু

নেপাল থেকে নিরাপদে দেশে ফিরল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল

সভা-সমাবেশে ডিএমপির নতুন নিষেধাজ্ঞা

জাকসু নির্বাচন বর্জন করলো ছাত্রদল

জাকসুর ভোট হাতে গণনার সিদ্ধান্ত

সংকটাপন্ন অবস্থায় লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন, লাইফ সাপোর্টে

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলা কার্কিকে চায় জেন

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জন থাকবে না: সালাহউদ্দিন

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ হবে ৪ মাস

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বড় সুখবর

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৫

নারীর অদৃশ্য অবদানের স্বীকৃতিতে এমজেএফ-এর শুভেচ্ছা