
ছবি সংগৃহীত
রাষ্ট্রকে তার সঠিক পথে (ট্র্যাক) ফিরিয়ে আনার জন্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) আইন সংশোধন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আইসিটি আইন সংশোধনের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
সংশোধিত আইনের মূল সংযোজন
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সংশোধিত আইনে নতুন সংযোজন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান:
-
নির্বাচনে অযোগ্যতা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়, তবে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ, তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
-
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা: একইসঙ্গে, তিনি মেয়র ও চেয়ারম্যানসহ সরকারি কোনো কার্যালয়েও নিয়োগ পেতে পারবেন না।
সংশোধনের যৌক্তিকতা
আইন সংশোধনের কারণ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, এই পরিবর্তন সময়ের প্রয়োজনে করা হয়েছে:
"আমরা যেটা মনে করি যে, একটা রাষ্ট্র বিপ্লবোত্তর পরিবেশে যখন একটা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তখন রাষ্ট্র বা দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনে সরকার এই আইন শুধু নয়; বিভিন্ন আইনেরই সংশোধনী আনছেন রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তোলার জন্য। এরই অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। এখন থেকে সে আইনটা সেভাবে প্রয়োগযোগ্য হবে।"
আইন সংশোধন নিয়ে বিতর্ক নেই
বিচার চলাকালীন আইন সংশোধন হওয়ার বিষয়টি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এমন কোনো সুযোগ নেই।
-
প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ নেই: তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, যদি একজন ব্যক্তির বিচার চলমান থাকা অবস্থায় বিচারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু সংশোধন করা হতো, তবে তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারত। কিন্তু এখানে সংশোধিত আইনটি এখনও প্রয়োগযোগ্য হয়নি, তাই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই।
-
সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত: তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, এই সংশোধন ন্যায়বিচারের পরিপন্থি হবে না, কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত (প্রটেক্টেড) একটি আইন। ফলে এর সবকিছুই বৈধ বলে গণ্য হবে এবং আদালতে এটি চ্যালেঞ্জও করা যাবে না।
ইউ