
ছবি সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে একটি মাদ্রাসা ভবন ধসে অন্তত তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আরও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখনও বহু ছাত্র ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
দুর্ঘটনার বিবরণ ও হতাহতের সংখ্যা
-
ঘটনার স্থান ও সময়: স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং মাদরাসার নামাজঘরের ভবনটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে।
-
ভুক্তভোগী: দুর্ঘটনার সময় সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নামাজ আদায় করছিল।
-
প্রাথমিক হতাহত: ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান মোহাম্মদ সাফি মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জানান, ভবন ধসের ঘটনায় ১০২ জন ভুক্তভোগীর খবর পাওয়া গেছে।
-
উদ্ধার: রাতভর তল্লাশির পর মঙ্গলবার ভোরে আটজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
-
মৃত্যু আশঙ্কা: উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মরদেহ দেখতে পাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযান ও কারণ
-
উদ্ধার প্রচেষ্টা: প্রায় কয়েকশো উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও সেনা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
-
ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি: বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে উদ্ধারকাজে ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। এর বদলে উদ্ধারকর্মীরা ভেতরে আটকে থাকা ছাত্রদের কাছে অক্সিজেন ও পানি পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
-
ভবন ধসের কারণ: কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটির চতুর্থ তলায় ঢালাইয়ের কাজ চলার সময় মাদ্রাসার ভিত্তি স্তম্ভ ধসে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ
ইন্দোনেশিয়ায় এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ভবন ধসের ঘটনা। এর আগে:
-
৩ সেপ্টেম্বর: পশ্চিম জাভার বোগোর জেলায় কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠান চলাকালীন একটি কমিউনিটি হল ধসে পড়ে অন্তত তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।
ভবন ধসের এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ছাত্রদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
ইউ