ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ১৩ আগস্ট ২০২৫

English

বিদেশ

ধারণার গণ্ডি ভাঙলেই ‘মুক্তি হয় না’ মুসলিম নারীর

উইমেনআই২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১৬:৪৫, ১৩ আগস্ট ২০২৫

ধারণার গণ্ডি ভাঙলেই ‘মুক্তি হয় না’ মুসলিম নারীর

ছবি সংগৃহীত

‘ইসলামবিদ্বেষ সচেতনতা মাস’-এ মুসলিম নারীদের নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরব হয়েছেন ব্রিটিশ লেখিকা মারিয়া বিনতে রেহান। তার মতে, মুসলিম নারীদের স্টেরিওটাইপ বা ধারণার গণ্ডি ভাঙা অনেক সময় মুক্তির পথ নয়; বরং তা নতুন ধরনের বর্ণবাদী ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার শিকার করে।

মারিয়া বলেন, আমাদের বারবার প্রমাণ করতে হয় যে আমরা বশ্যতাসীন স্ত্রী, অনুগত কন্যা বা শুধু আত্মত্যাগী মা নই—যে চিত্র আসলে পশ্চিমা উপনিবেশবাদী কল্পনার সৃষ্টি। অতীতে মুসলিম নারীদের এমনভাবে তুলে ধরে যুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন সেই পুরনো ধারণার বিপরীতে আমাদেরকে ‘আধুনিক’ ও ‘স্বাধীন’ নারীর নতুন ছাঁচে দেখাতে চায় পশ্চিমা সমাজ—যা আসলে পুরনো বর্ণবাদেরই নতুন রূপ।

তিনি উদাহরণ দিয়েছেন ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আলজেরিয়ান বক্সার ইমান খেলিফের ঘটনা। শুরুতে তাকে উদারপন্থার প্রতীক হিসেবে প্রচার করা হলেও পরে বলা হয়, তিনি ‘নারীত্বের জন্য হুমকি’। মারিয়ার মতে, মুসলিম নারী যদি পশ্চিমা মানদণ্ডে ‘মুক্ত’ হয়েও স্বীকৃতি পান, শেষ পর্যন্ত সেই মানদণ্ডই তার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।

লেখিকা মনে করেন, সৌন্দর্য ও স্বাধীনতার যে সংজ্ঞা মূলধারার পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দাঁড় করিয়েছে, তাতে মুসলিম নারীকে স্বাভাবিকভাবে জায়গা দেওয়া হয় না। হিজাব ও শালীনতা সেই দৃষ্টিকে চ্যালেঞ্জ করে, তাই অনেক মুসলিম নারীই নিজেকে ‘গ্রহণযোগ্য’ করে তোলার চাপে পড়েন।

মারিয়া আরও বলেন, মাতৃত্বকেও পশ্চিমা সমাজে অবমূল্যায়ন করা হয়। ‘মা’ পরিচয়কে মূল্যবান করে তুলতে হয় অন্য অর্জনের মাধ্যমে—যেন মা হওয়া নিজে থেকেই তেমন কিছু নয়। অথচ মা হওয়া মুসলিম নারীর জীবনের গভীর, মূল্যবান ও অর্থপূর্ণ একটি অংশ, যা বাইরের স্বীকৃতির ওপর নির্ভরশীল নয়।

তাঁর মতে, মুসলিম নারীর মুক্তি অন্যের চোখে ভালো লাগার জন্য নয়; বরং নিজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে অবিচল থাকার মধ্যেই রয়েছে। শুধু বাইরের স্বীকৃতির জন্য ধারণার গণ্ডি ভাঙা হলে তা আসলে এক নতুন ধরনের বন্দিদশা ছাড়া কিছুই নয়।

এই লেখা লেখিকার বই The Muslim (M)Other থেকে নেওয়া, যা ২০২৫ সালের বসন্তে প্রকাশিত হয়।

ইউ

১২ দিনে বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

৩৩ ওষুধের দাম কমলো

শিক্ষাবিদ যতীন সরকার মারা গেছেন

জনগণের হাতে ক্ষমতা ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

ইসলামী ব্যাখ্যায় নারীর মুক্তির দিশা

দেশজুড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

ধারণার গণ্ডি ভাঙলেই ‘মুক্তি হয় না’ মুসলিম নারীর

গুগলের ক্রোম ব্রাউজার কিনতে চাওয়া সেই তরুণ

নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা: অর্থ উপদেষ্টা

শিক্ষার্থীদের রেল অবরোধে ঢাকা-রাজশাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ

প্লট দুর্নীতি: হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

মেজর সাদিকের স্ত্রীর দোষ স্বীকার

মানুষের কর্মসংস্থান বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য: তারেক রহমান

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার