
ছবি সংগৃহীত
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর সফল বাস্তবায়ন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সর্বজনীন পেনশন অ্যাপ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
মূল ঘোষণাসমূহ
-
কালো টাকার উৎস বন্ধে নির্বাচন কমিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
-
ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
-
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য
-
"নির্বাচনে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ শুধু সরকারি উদ্যোগে সম্ভব নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।"
-
"কোনো নেতা শুধু বললেই কালো টাকা বন্ধ হবে না, প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ জরুরি।"
-
"ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।"
প্রেক্ষাপট
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোতে অর্থের প্রভাব নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে প্রার্থী মনোনয়ন থেকে ভোটার কিনতে পর্যন্ত কালো টাকার ব্যবহার ধরা পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এ ঘোষণাকে নির্বাচনী সংস্কারের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
পরবর্তী পদক্ষেপ
-
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কৌশল চূড়ান্ত করা হবে।
-
ব্যাংকিং চ্যানেল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে তদারকি বাড়ানো হবে।
শেষ কথা: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে সরকারের এ উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও বাস্তবায়নের ওপর। আগামী দিনগুলোতে এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউ