
ছবি সংগৃহীত
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার (৯০) মারা গেছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন 16।
মৃত্যুর কারণ
-
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যা, নিউমোনিয়া ও বার্ধক্যজনিত জটিলতা ভুগছিলেন 19।
-
গত ৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন 6।
-
এর আগে জুন মাসে পড়ে গিয়ে ঊরুর হাড়ে ফ্র্যাকচার হয়েছিল, যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও জটিল করে তোলে 25।
শোকজ্ঞাপন ও শেষকৃত্য
-
মরদেহ ময়মনসিংহ উদীচী কার্যালয়ে বিকেল ৪টা থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে 46।
-
পরে নেত্রকোনার সাতপাই এলাকার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হবে 49।
-
তার মৃত্যুতে উদীচী, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে 4।
এক নজরে যতীন সরকার
-
জন্ম: ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট, নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে 16।
-
শিক্ষকতা: ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগে ৪২ বছর অধ্যাপনা করেন 29।
-
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভূমিকা:
-
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি 56।
-
বাম রাজনীতি ও প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন 39।
-
-
পুরস্কার:
-
স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১০) 16।
-
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০৭) 29।
-
প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার (২০০৫) 36।
-
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন 15।
-
সাহিত্যের কাছে প্রত্যাশা 9।
-
বাঙালির সমাজতান্ত্রিক ঐতিহ্য 36।
-
পরিবার
স্ত্রী কানন সরকার, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন 16।
শেষ কথা: অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারালো একজন মননশীল লেখক, সমাজচিন্তক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ। তার অবদান বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রতিবেদনের ইাংরেজি নাম্বারগুলো মুছুন
শিক্ষাবিদ যতীন সরকার আর নেই
ঢাকা পোস্ট প্রতিবেদক
১৩ আগস্ট ২০২৫
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর কারণ
-
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, শ্বাসকষ্ট ও বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন
-
গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন
-
এর আগে পড়ে গিয়ে পায়ের হাড়ে চিড় ধরেছিল
শেষকৃত্য ও শোক
-
মরদেহ ময়মনসিংহ উদীচী কার্যালয়ে বিকেলে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে
-
পরে নেত্রকোনার সাতপাই এলাকার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে
-
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে
জীবনবৃত্তান্ত
-
জন্ম নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে
-
ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজে বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা
-
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি
-
প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন
-
স্বাধীনতা পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত
পরিবার
স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রগতিশীল চিন্তা ও সাহিত্যাঙ্গনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইউ