
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী নেপিদোর একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৪ বছর।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "দীর্ঘদিন ধরে তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। গত বছর থেকেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল।"
দীর্ঘদিনের অসুস্থতা
২০২৪ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মিন্ট সোয়ে স্নায়বিক রোগ ও পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি-তে ভুগছিলেন। এসব রোগের কারণে তার দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছিল, এমনকি খাবার খেতেও কষ্ট হতো।
গত বছর থেকেই তিনি নেপিদোর সামরিক হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং আজ সকালে তিনি মারা যান।
ক্ষমতায় আসা ও পটপরিবর্তন
মিন্ট সোয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারপ্রধান অং সান সু চিকে গ্রেফতার করে ক্ষমতা দখল করে।
২০২৪ সালে স্বাস্থ্যজনিত কারণে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে অস্থায়ীভাবে তার দায়িত্বভার প্রদান করা হয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মিন্ট সোয়ে ছিলেন মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার মৃত্যু দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মোড় নিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে জান্তা সরকারের সম্পর্ক তিক্ত। মিন্ট সোয়ে-এর মৃত্যু পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে।
তার মৃত্যুতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার শোক প্রকাশ করেছে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইউ