
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর বসুন্ধরায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গোপন গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানার মামলায় মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালতে তার এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দির বিবরণ
-
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সুমাইয়াকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন এবং বিস্তারিত জবানবন্দি দেন।
-
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেনের আবেদনে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন ও সুমাইয়াকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
-
জবানবন্দিতে সুমাইয়া "অপারেশন ঢাকা ব্লকেড" নামক গোপন গ্রুপের সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ গ্রুপের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মামলার পটভূমি
-
গত ৮ জুলাই বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় তিন থেকে চারশো জন অংশ নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন এবং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য শাহবাগ দখলের পরিকল্পনা করা হয়।
-
মামলায় অভিযোগ রয়েছে, সুমাইয়া ও তার স্বামী মেজর সাদিকুল হক এই বৈঠকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং ফেসবুকের গোপন গ্রুপের মাধ্যমে সমন্বয় করছিলেন।
সুমাইয়ার অবস্থান
-
এর আগে আদালতে সুমাইয়া "আমি নির্দোষ, রিমান্ড দিয়েন না" বলে আবেদন করলেও আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
-
জবানবন্দিতে তিনি এখন স্বীকার করেছেন যে বৈঠকে তার উপস্থিতি ছিল, তবে পূর্বে দাবি করেছিলেন, "আমি শুধু স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলাম, ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতাম না"।
তদন্ত ও গ্রেপ্তার
-
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঊনত্রিশ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের মধ্যে সুমাইয়া ও মেজর সাদিকুল হক প্রধান অভিযুক্ত।
-
সেনাবাহিনী মেজর সাদিককে হেফাজতে রেখে তদন্ত করছে এবং প্রমাণ পেলে সামরিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
সুমাইয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের প্রস্তুতি চলছে। মামলার তদন্তে আরও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানা গেছে।
ইউ