
ছবি সংগৃহীত
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত প্রত্যেক সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে।
এ হামলার পর ভারত ২৭ এপ্রিল দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার মাধ্যমে সামরিক জবাব দিয়েছে, পাকিস্তানের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে এবং ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে। তবে, পাকিস্তানের মধ্যে এই হামলায় সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলেনি।
দ্য ইকোনমিস্টের মতে, ভারতকে অবশ্যই পাকিস্তানের জড়িত থাকার নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দিতে হবে। ভারতীয় গোয়েন্দারা সন্দেহ করছে, হামলার দায় স্বীকারকারী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) আসলে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) শাখা। কিন্তু, সরাসরি কোনো প্রমাণ এখনো নেই।
ভারতের প্রতিক্রিয়া সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ভারত যদি সীমিত সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে সেটি দ্রুত বর্ধিত হতে পারে, বিশেষত পাকিস্তানও প্রস্তুত রয়েছে প্রতিক্রিয়া জানাতে।
অতএব, দ্য ইকোনমিস্টের মত, ভারতকে শান্তিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে চাপ সৃষ্টি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, বিশেষত যুদ্ধের অগ্রগতি ভারতীয় জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে।
ইউ