
ছবি সংগৃহীত
রাজনীতি মাঝে মাঝে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই বিভাজনের রাজনীতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালীবাড়ি মন্দিরের শনিদেব মন্দিরের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে কেউ ধর্ম দেখে লড়েনি। হিন্দু-মুসলমান সবাই একসঙ্গে লড়াই করেছে। আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনীতি মাঝে মাঝে আমাদের আলাদা করে দেয়। সেই রাজনীতি আমাদের পরিহার করতে হবে।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে অতীতের সম্পর্ক স্মরণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা আমার আত্মীয়। কখনো আলাদা করে দেখিনি। তবে দুঃখ হয় যখন রাজনীতির ভিন্নতার কারণে আমাকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। রাজনীতি তো অপরাধ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলেবেলায় আশ্রমপাড়ায় দুর্গাপূজা হতো, আমি নাটকে অংশ নিতাম। আজ সেই পরিবেশ আর নেই। নিজেদের লোকেরাও আর ডাকেন না। আমাদের সেই ভেদাভেদ ভুলে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনো বিভাজনের রাজনীতি করিনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের শান্তিই আমাদের শান্তি, আপনাদের বিপদ মানেই আমাদের বিপদ।’
সমাজে চলমান ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তির বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া এখন বিভ্রান্তি ছড়ানোর জায়গা হয়ে উঠেছে। আমি নিজে এসব দেখি না, কারণ জানি এটি সমাজকে অস্থির করে তোলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা থাকবেই। কিন্তু সেই সমস্যা থেকে আমাদেরই উত্তরণ ঘটাতে হবে। আসুন, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাই মিলে এমন একটি সমাজ গড়ি, যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন সিংসহ স্থানীয় বিএনপি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউ