ঢাকা, বাংলাদেশ

বুধবার, , ৩০ এপ্রিল ২০২৫

English

জাতীয়

জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলক আসামি, আসকের উদ্বেগ

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৬:২৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলক আসামি, আসকের উদ্বেগ

ফাইল ছবি

বেসরকারি টেলিভিশনের তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় ৪ জেলায় কমপক্ষে ১৩৭ জন সাংবাদিককে আসামি এবং সংস্কৃতিকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে, সাংবাদিকদের থেকে প্রশ্ন আসে, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার ইউনেস্কো স্বীকৃতি, শোভাযাত্রায় বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর মুখাকৃতির আদলে মুখোশ এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে। প্রশ্নোত্তরের এই পর্ব অনেকটা বাহাসে পরিণত হয়। এ ঘটনার পর একটি ফেসবুক পেইজে সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্ন ঘিরে তিন টেলিভিশন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও ওই পেইজ থেকে আরেকটি পোস্ট করে বলা হয় এই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ‘মার্চ টু দীপ্ত টিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা’। এর পরপরই তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে দায়ের হওয়া ৩২টি ফৌজদারি মামলায় অন্তত ১৩৭ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও মামলা করা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল মর্মে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সংবাদ বেরিয়েছিল। কমিটি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ করবে এবং সময়ে সময়ে মামলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। অথচ কমিটি গঠনের পরেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কমিটি গঠনের পূর্বেকার মামলাগুলোর বিষয়েও কোনও ধরনের পদক্ষেপ স্পষ্ট নয়।

যেকোনো সমাজের সৌন্দর্য হলো নাগরিকের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি। আর তা আইন দ্বারা অথবা প্রভাব বিস্তার দ্বারা সেই অধিকার খর্ব করার মত ঘটনা যখন ঘটে তখন সেটা নিপীড়ন বলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদ বলে বাক্ স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলা কিংবা চাকরিচ্যুতির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং যে কোন সাংবাদিককে হয়রানি, নির্যাতন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন ধরনের চাপ কিংবা হস্তক্ষেপের ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। এ ধরনের ঘটনা সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনার প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং জবাবদিহিতা সংকুচিত করে তোলে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত দুই যুগে পেশাগত দায়িত্বপালন কালে কিংবা এর সূত্র ধরে যে সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের একজন সাংবাদিকেরও হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়নি কিংবা শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। আর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এমন সাংবাদিকের জন্য কোনও ধরনের প্রতিকার ব্যবস্থা নেওয়ার নজিরও বিরল। পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্যতম পূর্বশর্ত। এখনো পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিকগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এখনো সাংবাদিকতা পেশাটি আক্ষরিক অর্থে স্বাধীন কিংবা চাপমুক্ত হতে পারেনি। সরকারকে দ্রুত সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

এছাড়াও গণমাধ্যমসূত্রে জানা যাচ্ছে, সংস্কৃতি কর্মীদের বিরুদ্ধেও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে, যা সত্যিকার অর্থেই সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি বিরূপ, বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং তাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা বলেই বিবেচিত হয়। সম্প্রতি সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনয় শিল্পীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে, এমনকি এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি। বরং বেআইনী ‘মব’ তৈরি করে নাগরিকের মর্যাদা হানি ও স্বাধীন চলাফেরায় হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ঢাকায় একজন অভিনয়শিল্পীকে বেআইনী ‘মব’ কর্তৃক আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ধরনের বেআইনী ‘মব’ সচেতন নাগরিকদের হতাশ ও উদ্বিগ্ন করে তুলছে। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট বলে দৃশ্যমান নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, এ ধরনের ঘটনা সুশাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।

ইউ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস জয় বাংলাদেশের

রিজার্ভ ছাড়ালো ২৭ বিলিয়ন ডলার

টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ

ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান জামায়াত আমিরের

টানা তিন দিনের ছুটিতে রাজধানীতে চারটি বড় রাজনৈতিক সমাবেশ

ভারতকে কাশ্মীর হামলায় পাকিস্তান জড়িতের প্রমাণ দিতে হবে: দ্য ইকোনমিস্ট

নারী কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারের জন্য বিপদ সংকেত: চরমোনাই পীর

জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলক আসামি, আসকের উদ্বেগ

যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী: বিমানবাহিনীর মহড়ায় ড. ইউনূস

রাজনীতি মাঝে মাঝে হিন্দু–মুসলমানকে আলাদা করে দেয়: ফখরুল

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

মোবাইল কোর্ট অভিযানে জরিমানা ও সতর্কবার্তা জারি 

মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি