
ক্যালগেরিতে ’মিক্সটেপ’ এর বাংলা কনসার্ট অনুষ্ঠিত
কানাডায় বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্মের মাঝে মূলধারার মঞ্চে বাংলা ব্যান্ড গানকে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়ে ক্যালগেরির
ম্যাগনোলিয়া হলে 'মিক্সটেপ' এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলা কনসার্ট।
বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর তারুন্যের বাঁধভাঙা জোয়ারের মধ্য দিয়ে পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন বর্তমান সময়ের হার্টথ্রব ব্যান্ড গ্রুপ ‘শূণ্য’, উইনিংস খ্যাত চন্দন এবং তাঁর দল, সঙ্গীত পরিচালক এবং শিল্পী ফুয়াদ আল মুক্তাদির। সঙ্গে আরো ছিল ‘রিকল’ নামে ব্যান্ড গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক দর্শক শিল্পীদের সাথে নেচে গেয়ে ভিন্নরকমের এক পরিবেশ তৈরি করে ।পুরো অডিটোরিয়াম পরিণত হয় একখনড বাংলাদেশে। বাংলা কনসার্ট সকলস্তরের দর্শক শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে কমিউনিটির সেরা এবং সফল আয়োজন হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে সকল মহলে।
বিকেল থেকেই বিপুল সংখ্যক দর্শক শ্রোতা অনুষ্ঠানস্থলে ভীড় জমায়। গভীর রাত পর্যন্ত নেচে গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তরুণরা। আয়োজকদের নিপুণ ব্যবস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠানটিই সম্পন্ন হয় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই। শিল্পীদের পারফরমেন্সের পাশাপাশি বাংলা কনসার্টের ব্যবস্থাপনা টীমের নৈপুণ্যও দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠান শুরুর আগেই গত এক সপ্তাহে এবারের বাংলা কনসার্ট নিয়ে কমিউনিটিতে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়। শহরের কোনো আয়োজন নিয়ে আগেভাগেই এতো আলোচনা, আগ্রহ কৌতূহল চোখে পড়েনি বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অনুষ্ঠানেও যেনো তাদের সেই আকাংখারই প্রতিফলন ঘটেছে। প্রতি ব্যান্ডই তাদের অসাধারন পরিবেশনা দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত এবং মুগ্ধ করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক "মিক্সটেপ" এর মোহাম্মদ খান, সাইফুল আজীম সহ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন স্পন্সরগণ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মোহাম্মদ খান জানান, প্রবাসে তরুণ প্রজন্মের সাথে বাংলা সংস্কৃতির সেতু বন্ধন তৈরির মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপনই আমাদের মূল লক্ষ্য।আমাদের তরুন প্রজন্ম এখনো বাংলা সংস্কৃতিকে ভালবাসে, বাংলাদেশকে ভালবাসে। শুধু দরকার ছিল এমন একটা পদক্ষেপের। অনুষ্ঠানটি কে সফল করতে স্পন্সর সহ যারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর ওয়াকার আহমেদ রাজা জানান, প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশ আমাদের হৃদয়ে। এই আয়োজন আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্য কে তুলে ধরবে। এই আয়োজনের সাথে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান প্রেইরি ওয়েস্টার্ন কলেজ সম্পৃক্ত হতে পেরে ধন্য মনে করছি। এভাবেই প্রবাসে আমাদের সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
//এল//