ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ০২ মে ২০২৫

English

প্রবাস

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শ্রমিকদের সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ

উইমেনআই ডেস্ক প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ১ মে ২০২৫; আপডেট: ২০:০৭, ১ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শ্রমিকদের সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনযাত্রা একটি জটিল বাস্তবতা, যেখানে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বা ভাল জীবনযাপন করার জন্য সংগ্রাম করেন। যুক্তরাষ্ট্রে একদিকে যেমন উন্নত জীবনের আশা থাকে, অন্যদিকে নানা চ্যালেঞ্জও তাদের প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হয়। বৈধ অভিবাসী এবং অবৈধ অভিবাসী-দু’ধরনের শ্রমিকই যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তবে তাদের জীবনধারা, নিরাপত্তা, আইনগত সমস্যা এবং কর্মস্থলের পরিস্থিতি কখনোই সহজ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১১ মিলিয়ন (১ কোটি ১০ লাখ) অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন খাতে শ্রম দিয়ে থাকেন, যেমন নির্মাণ, কৃষি, হোটেল ও রেস্তোরাঁ, পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য সেবা। তবে তাদের অধিকাংশেরই কোন ধরনের শ্রমিক অধিকার নেই বা তারা বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পায় না। এই শ্রমিকরা মূলত কম পারিশ্রমিক, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা সত্ত্বেও কাজ করতে বাধ্য হন। তারা সাধারণত শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চিত, এবং শ্রম শোষণ বা অন্য কোনও শোষণমূলক পরিস্থিতির শিকার হন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের একটি বড় সমস্যা হলো আইনি সুরক্ষা। তাদের আইনগত অধিকার সীমিত থাকে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যের শিকার হন। উদাহরণস্বরূপ, নির্মাণ শ্রমিকেরা যাদের অধিকাংশই অস্থায়ী কাজের জন্য নিয়োগ পান, তাদের নিয়োগকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুবিধা দেয়া হয় না। শ্রমিকদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয় এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা আহত হলে তারা সাধারণত কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পায় না। এছাড়াও, অনেক ক্ষেত্রেই আইনগত সুরক্ষা না থাকায় শ্রমিকরা চাকরি হারানোর ভয় এবং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নিয়ে বসবাস করেন।

অনেক প্রবাসী শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নীতি, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে কঠোর অভিবাসন আইনের কারণে অতিমাত্রায় আতঙ্কিত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভিসা ছাড়া, অদ্ভুতভাবে বা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং সার্বক্ষণিক ভাবেই গ্রেফতার বা ফেরত পাঠানোর শঙ্কায় থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা কখনোই নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন না। সামাজিক নিরাপত্তা বা কোন ধরনের সরকারি সুবিধা না পাওয়ার কারণে, তাদের কাজের মধ্যে যে কোনো বিপদ হলে, তারা সেগুলোকে চেপে যায় বা রিপোর্ট করতে সাহস পান না।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী নারী শ্রমিকদের অবস্থা আরো জটিল। তারা সাধারণত ডোমেস্টিক কাজ, পরিচ্ছন্নতা, নার্সিং, অথবা গৃহস্থালির কাজে নিয়োজিত হন। এই নারী শ্রমিকরা প্রায়শই শোষণ, অবহেলা এবং যৌন হয়রানির শিকার হন। তাদের জন্য অফিসিয়াল কোনো আইনগত সহায়তা পাওয়া কঠিন, বিশেষ করে যদি তারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন। তারা প্রায়শই নিঃশর্তভাবে কাজ করে, এমনকি ন্যূনতম মজুরি কিংবা কাজের সময়সীমা বজায় না রেখেও। তারা কাজের পরিবেশে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বিষহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, কিন্তু অভিবাসন নীতির কারণে তারা প্রতিবাদ বা অভিযোগ জানানোর সাহস পান না।

যুক্তরাষ্ট্রে অনেক প্রবাসী শ্রমিক একটি নিম্ন মজুরি ভিত্তিক জীবিকা নির্বাহ করেন। মজুরি অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে দেয়া হয় না, এবং দিনের পর দিন তাদের কাজের ঘণ্টা বেড়ে যায়। যেমন, কৃষি খাতের শ্রমিকরা সাধারণত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করেন, অথচ তাদের মজুরি কম থাকে এবং স্বাস্থ্যসেবা বা অন্যান্য সুবিধা তারা পায় না। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মজুরির ক্ষেত্রে বৈষম্য। একজন শ্রমিককে এক খাতে কম মজুরি দেয়া হলেও অন্য খাতে একই কাজের জন্য উচ্চ মজুরি দেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন রয়েছে যারা প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আইনি সহায়তা, স্বাস্থ্য সেবা এবং অন্যান্য মৌলিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ‘এআইআর’ (আমেরিকান ইমিগ্যান্ট রিলিফ) এবং ‘ন্যাশনাল ইমিগ্রান্ট লিগাল সার্ভিসেস’ (এনআইএলসি) এর মতো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অভিবাসীদের জন্য আইনি সহায়তা, কর্মস্থলে শোষণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ভবিষ্যতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে যদি সরকার অভিবাসন আইনে পরিবর্তন আনে। ২০২১ সালে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তার প্রশাসন অভিবাসন নীতি সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, এসব পরিবর্তনের বাস্তবায়ন এখনো অনেকটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে।

এছাড়া, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এবং মানবাধিকার সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। তাদের লক্ষ্য হলো, অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরপত্তা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মঘণ্টা নিশ্চিত করা, যাতে তারা মানবিক পরিবেশে কাজ করতে পারেন এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।

ইউ

জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি

বিশ্ববাজারে ফের কমলো জ্বালানি তেলের দাম 

সাংবাদিক নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধের  দাবি ডিইউজে’র

‘নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

ফজলুর রহমানের মন্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এনসিপির সমাবেশ থেকে আ.লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি

ল্যাপটপ স্লো হলে যা করবেন

বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ সুন্দরবনে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়     

সুন্দরবনের উপকূলে ঘন ঘন লোডশেডিং: বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুমাইয়ার কৃতিত্ব, ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত

ইয়াশ-তটিনীর আত্মহত্যার চেষ্টা!

গরমে আংটি-চুড়ি থেকে র‍্যাশ সারাতে করণীয়

তুমি আমার আশ্রয়, আনুশকাকে আবেগী বার্তা কোহলির

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প

পবিত্র হজ পালনে সৌদি পৌঁছেছেন ১১০৬০ জন