
ছবি সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপে ১০টি দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে, অন্যদিকে কয়েকটি দল বিকল্প পদ্ধতি উপস্থাপন করেছে।
প্রধান মতামতসমূহ:
-
সিপিবি: রুহিন হোসেন প্রিন্স সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০তে উন্নীত করার পক্ষে মত দেন, তবে ৩৩% আসনে নারী মনোনয়নকে "অসময়োচিত" বলে উল্লেখ করেন।
-
এলডিপি: শাহাদাৎ হোসেন সেলিম কমিশনের "সময়ক্ষেপণ" এর সমালোচনা করে বলেন, "সংরক্ষিত আসন বিলোপ না করে সরাসরি নির্বাচনের পদ্ধতি নির্ধারণ জরুরি।"
-
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি: সাইফুল হক直言, "দলগুলো নিজেদের কমিটিতেই ৩০% নারী রাখতে ব্যর্থ, ৩৩% আসন দেওয়া অযৌক্তিক।"
-
এবি পার্টি: আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ৫% কোটা চালুর প্রস্তাব দেন।
-
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম: মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সংরক্ষণ না রেখে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে মত দেন।
বিতর্কের মূল বিষয়:
-
কমিশন সংবিধানের ৬৫(৩) ধারা বিলোপ করে সংরক্ষিত আসন উঠিয়ে দিতে চায়
-
৩৩% আসনে নারী প্রার্থী বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব
-
১০টি দল দাবি করেছে, "বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি বাস্তবসম্মত নয়"
উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনা:
-
গণসংহতি আন্দোলন: জোনায়েদ সাকি ২০% আসনে সরাসরি ভোটের পরামর্শ দেন
-
বাসদ (মার্কসবাদী): মাসুদ রানা ৩টি সাধারণ আসনের জন্য ১টি নারী আসনের রোটেশন সিস্টেম চান
-
জেএসডি: শহীদ উদ্দিন স্বপন "ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি" প্রস্তাব করেন
অনুপস্থিতি:
বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি এই আলোচনায় কোনো মন্তব্য করেনি।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
কমিশন সকল প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করবে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নারী প্রতিনিধিত্বের এই বিতর্ক রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
ইউ