
ফাইল ছবি
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটে এখনও পড়ে আছে সিমেন্টে জমাট বাঁধা দুটি কংক্রিটের টুকরো। এগুলোই নিহত ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)-এর হত্যাকাণ্ডের নীরব সাক্ষী। গত ৯ জুলাই প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এখন সেই ঘটনাস্থলকে ঘিরে জমে উঠেছে মানুষের কৌতূহল।
ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়
রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটে গিয়ে দেখা যায়, কংক্রিটের টুকরোগুলোকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে অনেকে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন নানা মন্তব্য। স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, "এই ইট দিয়েই ওর মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মানুষ এত নির্মম হতে পারে!"
হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
তদন্তে জানা গেছে, রাজনৈতিক আধিপত্য, চাঁদাবাজি ও ভাঙারি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে সোহাগকে টার্গেট করে হামলা চালায় মাহিন-টিটন গাজী গ্রুপ। সাতটি বাইকে করে ১৯ জন আসে এবং তাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ টেনে গেটের বাইরে ফেলে উল্লাস করে তারা।
মামলা ও গ্রেফতার
সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম ১৯ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে টিটন গাজী ও তারেক রহমান রবিন উল্লেখযোগ্য। রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আলামত এখনও কেন?
হত্যার প্রধান আলামত কংক্রিটের টুকরোগুলো এখনও সরানো হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে লালবাগ ডিবি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, "প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো হয়তো বাইরের।"
হাইকোর্টে রিট
হত্যাকাণ্ডের বিচারিক তদন্ত ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠনের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আনসারের ব্যাখ্যা
আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, "ঘটনার সময় ৩ নম্বর গেটে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব ছিল না।"
এলাকায় এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকের আশঙ্কা, মাহিন গ্রেফতার হলেও তার অনুসারীরা সক্রিয় রয়েছে।
ইউ