
ফাইল ছবি
হাইকোর্ট জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ অন্যান্য শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা না করার কারণ তলব করেছে। একই সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'নতুন বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণার বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রুলের বিবরণ
সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে:
-
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না কেন?
-
শহীদদের প্রামাণিক তালিকা তৈরি করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না?
-
ড. ইউনূসকে 'জাতীয় সংস্কারক' হিসেবে ঘোষণা না করার কারণ কী?
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রেক্ষাপট
গত জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ অনেকে নিহত হন। তাদের পরিবার ও বিভিন্ন সুশীল সমাজের সংগঠন জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছিল। অন্যদিকে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থকরা তাকে 'জাতীয় সংস্কারক' ঘোষণার দাবি তুলেছিলেন।
আগামী পদক্ষেপ
রুলের জবাব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় চলছে বলে জানা গেছে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই রুল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও নায়ক নির্মাণের ধারা নিয়ে একটি বড় বিতর্কের সূচনা করতে পারে।
একাত্তর টিভির খবরে আরও জানানো হয়েছে, শহীদ পরিবার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা হাইকোর্টের এই রুলকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
ইউ