ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

English

বৃত্তের বাইরে

 চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার ভ্যালি

উইমেনআই২৪ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ১০:০০, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

 চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার ভ্যালি

 চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার ভ্যালি

বাংলাদেশের চাকমা সম্প্রদায়ের প্রথম নারী ব্যারিস্টার ভ্যালি চাকমা। আর উচ্চ আদালতে চাকমা সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় নারী আইনজীবী। বাবার অনুপ্রেরণায় আইন পড়তে উদ্বুদ্ধ হন। তাই তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে আইনে ভর্তি হন। সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে পর্যায়ক্রমে জজকোর্ট ও হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ব্যারিস্টারি পড়তে পাড়ি জমান লন্ডনে।

গেল বছরের ২৫ নভেম্বর লন্ডনের লিংকন্সইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে এসে উচ্চ আদালতে আইনপেশা শুরু করেছেন তিনি। ভ্যালি বিয়ে করেছেন ঢাকার অধিবাসী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অরহণ দেওয়ানকে। নিজ সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। একইসঙ্গে আইন পেশায় অবদান রাখতেও চান উদীয়মান এই নারী ব্যারিস্টার।

১৯৯১ সালে রাঙামাটি পাবর্ত্য জেলায় তার জন্ম। বাবা কল্যাণ মিত্র চাকমা। বাবা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার হিসেবে বেনাপোল অফিসে কাজ করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এখন গৃহিণী। বোনের স্বামী ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার। ছোট ভাই নর্থ সাউথে ফার্মেসিতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।

ভ্যালির পড়ালেখা ও ব্যারিস্টার

বাবার চাকরির বদলিজনিত কারণে এক বছর বয়স থেকে খুলনায় ছিলাম ভ্যালি। খুলনা সরকারী করনেশন বালিকা বিদ্যালয়ে থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি শেষে চট্টগ্রামে চলে যায় তিনি। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস আর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসি পাস করেন ভ্যালি। এরপর চলে আসে ঢাকায়।
ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে ভূইয়া একাডেমিতে ভর্তি হন। ২০১৩ সালে আইনে স্নাতক শেষ করে। ২০১৫ সালে এলএলএম কমপ্লিট করে ধানমন্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে। এরপর ২০১৬ সালে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আর ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তারপর ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ড চলে যান। ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর লন্ডনের লিংকন্সইন ইন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরেন ভ্যালি।

কার অনুপ্রেরণায় এবং কেন আইন পড়লেন- এমন প্রশ্নে সাম্প্রতিক সময়ে ভ্যালি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমার বাবা জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্টুডেন্ট ছিলেন। রাজনীতি পছন্দ করতেন। আমার দাদা, চাচা সবাই রাজনীতি করেন। বাবা চাইতেন আমি যেন ব্যারিস্টারি পড়ে রাজনীতি করি। বাবা ছোটবেলা থেকে আমাকে স্বপ্ন দেখাতেন আমি যেন ব্যারিস্টার হই। মূলত বাবার অনুপ্রেরণায় তার স্বপ্ন পূরণে আইনে ভর্তি হই।

এ সময় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি সুপ্রিম কোর্টের একজন অ্যাডভোকেট হওয়া অনেক গৌরবের বিষয়। আমি এমন এক জায়গায় আছি যেটার মাধ্যমে আমার সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে আইনি সহায়তা দিতে পারবো। সেই কাজটা আমি করতে চাই। আরেকটা কথা বলতে চাই, দাদা এবং চাচা তারা সমাজসেবক। আমরা বংশগতভাবেই মানুষকে সহায়তা করে আসছি। আইনপেশায় প্রতিষ্ঠিত হলে আমার রাজনীতি করার ইচ্ছে রয়েছে।

//এল//

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া সেরেলাক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

যে ৪ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে

পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা

বেকারদের জন্য সুখবর

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ভোট করতে মানা 

ধ্রুব এষ আইসিইউতে

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে’

থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আবারো ইনফিনিক্স ও জেবিএল’র পার্টনারশিপ

সরিষাবাড়ীতে নামে মাত্র প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী মেলা

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কুকি-চিনের ৫২ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর