
ফার্মাসিস্ট সাবরিনা
পৃথিবীতে বেশীরভাগ মানুষ নিরিবিলি জীবন যাপন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সমাজের অধিকাংশ নারী-ই অনেক ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতার অজুহাতে আবার কেউ নিরাপত্তার অজুহাতে নিজেকে গুটিয়ে রেখেই স্বস্তি পান। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে। যারা বাধাকে ডিঙিয়ে আনন্দ পান। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে চান। কেউ অসুস্থ হলে সুস্থ হওয়ার জন্য প্রথমেই যে জিনিসটির প্রয়োজন পড়ে তা হলো ঔষধ, আর এই ঔষধ বিক্রির সাথে জড়িত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটি হলেন ফার্মাসিস্ট।
ঢাকা দোহার প্রবাসী মো. শামীম আহসানের মেয়ে সাবরিনা সাজিন । ২০১৬ সালে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ২০১৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স সম্পন্ন করে তিনি পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তাঁর পিতা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আমিরাতে কর্মরত থাকাকালীন আমিরাতে এসেছিলেন তিনি।
সাবরিনা বর্তমানে আমিরাতের শারজায় আল-কুলাইয়া আল-সার্ক হোয়াইট ফার্মেসিতে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে তিন বছর ধরে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তার ব্যবহার,পরিশ্রম, কাজের দক্ষতায় এই ফার্মেসি পরিচালনা করছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সাথে কথা বলতে হয়। আরবি, ইংলিশ, উর্দু ও হিন্দি ভাষাতেই কথা বলতে হয় বেশিরভাগ সময়। ভিনদেশী মানুষের সাথে কথা বলতে অনেক ভালো লাগে তাঁর।
সাবরিনা বলেন, বাংলাদেশি নারী হিসেবে এই দেশে অনেক নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছি। অন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশী মেয়েরা যে পরিমাণ কর্মরত রয়েছে আরব আমিরাতে সেই তুলনায় বাংলাদেশি গ্রাজুয়েট নারী খুবই কম। এ দেশে আইন-কানুন কঠোর তাই নারীদের কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। দেশ থেকে যদি শিক্ষিত নারীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসতে চাইলে কোনো দালালের মাধ্যমে না এসে নিজেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। যদি গ্রাজুয়েট ও বিভিন্ন ভাষা জানা থাকে খুব সহজে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষিত নারীরা এই দেশে আসার সময় এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ রইল এই বিষয়ে নজর দেওয়ার। যদি বাংলাদেশি নারীরা দেশ থেকে আসার ব্যাপারে আরও সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে তারা আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবে। পরিবারের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
//জ//