ঢাকা, বাংলাদেশ

মঙ্গলবার, , ২১ অক্টোবর ২০২৫

English

জাতীয়

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প 

রীতা ভৌমিক 

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২১ অক্টোবর ২০২৫; আপডেট: ১৮:১১, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প 

ফাইল ছবি

প্রতিবন্ধী নারীদের অভিজ্ঞতা চ্যালেঞ্জ ও নেতৃত্বের গল্প -১

পরিবার-সমাজের নির্যাতন, অবহেলার সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন অনেক প্রতিবন্ধী নারী।  এখনও লড়াই করছেন। তাদের অনেকে লেখাপড়া শিখে, প্রশিক্ষণ নিয়ে, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। শুধু নিজের জায়গা তৈরি করেননি, তাঁর মতো অন্য নারী-পুরুষ উভয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। এমন প্রতিবন্ধী নারীদের প্রতিনিধিত্বের সংখ্যাও ধীর গতিতে হলেও বাড়ছে। 

তবে প্রতিবন্ধী নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে তাদের চ্যালেঞ্জগুলোকেও  মোকাবিলা করতে হবে।  আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের মতো প্রতিবন্ধী নারীরও সমান মর্যাদা, প্রজননস্বাস্থ্য, কাজের স্বীকৃতি পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। 

যদিও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ এর প্রতিটি ধারায় প্রতিবন্ধী নারীর অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে।

জাতিসংঘ সনদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং এসডিজি-এর আলোকে নারী, শিশু ও বয়স্ক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সম-সুযোগের বিষয়টিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে এই আইনে স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রতিবন্ধী নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ নেই।

জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, ২০১৫-এ নারী, শিশু, বয়ষ্ক ও প্রতিবন্ধী জনগণের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকার এই কৌশলে সকল অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরিতেও অঙ্গীকারাবদ্ধ।
সমাজসেবা অধিদপ্তর যদিও প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা ভাতা প্রদানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এরপরও ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন প্রতিবন্ধী নারীরা। উইম্যান উইথ ডিজাব্লিটিজ ডেভেলপম্যান্ট ফাউন্ডেশনের (ডাব্লি উডিডিএফ)  নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি  এসব প্রতিবন্ধী নারীর অধিকার আদায়ে কাজ করছেন। তিনি নিজেও একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। শারীরিক প্রতিবন্ধিতার কাছে হার মানেননি তিনি। কিন্তু এতোটা পথ পাড়ি দিতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাকে। এইচএসসি পড়ার সময় প্রতিবন্ধিতার শিকার হন তিনি। তার যমজ বোন জেলা সদরে কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে পারলেও প্রতিবন্ধিতার কারণে উপজেলা থেকে হুইল চেয়ার নিয়ে তিনি কোচিং করতে যেতে পারেননি। কারণ একদিকে তার গণপরিবহনে ওঠা-নামা, রিজার্ভ পরিবহনে যাওয়া, অন্যদিকে সিঁড়ি বেয়ে তিনতলায় ক্লাশ করাও সম্ভব ছিল না।  তার বোন স্পোকেন ইংলিশ, কম্পিউটার শিখতে পারলেও তিনি পারেননি  এসব জায়গায় প্রবেশগম্যতা না থাকার কারণে।  প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সে ব্যবস্থা ছিল না । মাস্টার্স সম্পন্ন করে এমফিলে ভর্তি হন মিষ্টি। কিন্তু এমফিল সম্পন্ন করতে পারেননি। এভাবে তিনি শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। 

প্রতিবন্ধী নারীদের উন্নয়নে আশরাফুন নাহার মিষ্টি ২০০৭ সালে একটি সংগঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন।  বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কোনো ব্যবস্থা নেই। এরপরও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে পুরুষরা কোথাও  কোথাও কাজের ব্যবস্থা করলেও নারীদের ক্ষেত্রে তা একেবারেই অসম্ভব। 

কারণ একজন প্রতিবন্ধী পুরুষ তার ভাই, বন্ধু বা প্রতিবেশীর সহযোগিতায় বা তাকে সাথে নিয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারেন। তারা তাকে রিকশা বা সিএনজি, বাসে  কোলে করে তুলে দিতে পারেন। কিন্তু একজন প্রতিবন্ধী নারীর ক্ষেত্রে এটা সম্ভব নয়। একজন পুরুষের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চড়তে পারবেন না।  কোনো প্রতিষ্ঠানে র‌্যাম বা লিফট না থাকলে সিঁড়িতে প্রতিবন্ধী নারীকে পুরুষের তুলে দেওয়াকে সমাজ ভালো চোখে দেখবে না। 

এ ব্যাপারে আশরাফুন নাহার মিষ্টি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, বিনোদন কেন্দ্র, অফিস আদালত, ব্যাংকে  যাতায়াতের কোনো উপযোগী ব্যবস্থা না থাকলে প্রতিবন্ধী নারীরা এগুতে পারবেন না। প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য প্রকৃত পরিবর্তন না এলে তারা কোনো  সমার্থক সুবিধা পাবেন না।

এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভেবেছি আমাদের আগামী প্রজন্মের প্রতিবন্ধী নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবো। তারা যেন আমাদের মতো বাধার সম্মুখীন না হয়। সে লক্ষ্যে উইম্যান উইথ ডিজাব্লিটিজ ডেভেলপম্যান্ট ফাউন্ডেশন (ডাব্লিউ ডি ডি এফ) নামে সংস্থার মাধ্যমে আমরা প্রতিবন্ধী নারীরা একত্রিত হয়ে আওয়াজ তুলি ।
এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার শুরু করি। কিছুদিন অন্য প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলো বুঝতে পারেনি প্রতিবন্ধী নারীরা আলাদা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে যাচ্ছি। কিন্তু নারী সংগঠনগুলো আমাদের সেভাবে গ্রহণ করেননি।

নারী সংগঠনগুলোর সভায় অংশ নেওয়ার একদিনের অভিজ্ঞতা তিনি তুলে ধরেন। সিডও প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টেপস স্টুয়ার্ডসের একটি সভায় অংশ নেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিরিন আখতার ও তিনি । সেখানে একজন নারী নেত্রীর সাথে তার দেখা হয়। তিনি তাকে অবাক হয়ে দেখেন, সিএনজি থেকে হুইল চেয়ার নিয়ে কিভাবে নামলেন। হুইল চেয়ার খুলে বসলেন। অন্যদের সহযোগিতায় তারা সিঁড়ি দিয়ে উঠে সভাকক্ষে প্রবেশ করেন।   সেদিন কেউ তাদের সাথে কথা বলেননি। বরং যিনি সিএনজি থেকে নামতে দেখেছিলেন, তিনি তাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘আপনাদের এখানে এত কষ্ট করে আসার কি দরকার ছিল। এত কষ্ট করে, আমরাই চলতে পারি না! আপনাদের কথাটা একটা চিরকুটে লিখে দিলে হতো।’

 এটা ছিল তার নারী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মের প্রথম আলাপচারিতা। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নারী নেত্রীরা কেউ বলেননি, ওদের আসার দরকার আছে। যিনি তাদের সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনিও কোনো কথা বলেননি। তাহলে কি পুরুষরা, নারী নেত্রীরা তাদের প্রবেশগম্যতাকে গ্রহণ করছেন না। তাদের চেষ্টা কি বৃথা যাবে! এই প্রশ্নটি রাষ্ট্র, সমাজের কাছে রেখেছিলেন  আশরাফুন নাহার মিষ্টি।

তিনি দমে যাননি। বরং শপথ  নেন, জাতীয় পর্যায়ে নারী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর

আশরাফুন নাহার মিষ্টি বলেন, একবছর পর ড্রাফট রিপোর্ট তৈরি হয়। কিন্তু সেখানে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক কোনো শব্দ ছিল না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, গ্রামীণ নারী বিষয়ক যতগুলো আর্টিকেল আছে সেখানে আমাদের মতামত নেই। সেদিন তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম,  সম্মান রেখে আপনাদেরকে বলছি, একটি বছর আমরা আপনাদের সাথে ছিলাম। আপনারা রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু কোথাও আমাদের কথা উল্লেখ নেই। তারা বলেছেন, আমরা রিপোর্টটা  কনসালটেন্ট দিয়ে করিয়েছি। কনসালটেন্ট ইস্যুটা বাদ দিয়েছেন। কিন্তু  আমরা এই সমাজেই বসবাস করি।

অন্যদিকে প্রতিবন্ধী পুরুষদের আন্দোলনে আমাদের অবহেলা, বঞ্চনা, কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। তারা বলেছেন, আমাদের ৩০০ সংগঠন, আপনাদের জন্য আলাদা সংগঠন করার কী দরকার ছিল। তহবিল নেই। আপনারা কেনো এই ঝামেলার মধ্যে আসলেন!

আশরাফুন নাহার মিষ্টি এর প্রতিত্তুরে বলেছেন , আপনারা প্রতিবন্ধী ইস্যুতে যখন কথা বলবেন, প্রতিবন্ধী নারীদের চাহিদার কথাও রয়েছে। তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য , চাকরি, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এই বিষয়গুলোও রয়েছে। এজন্য আমাদের উপস্থিতি দরকার। এ নিয়ে আমরা আওয়াজ তুলতে চাই। তাদের লিডারশিপ নষ্ট করতে অনেকেই চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন ফোরামে অনেক আলোচনা, সমালোচনা, অপমানের সম্মুখীনও হয়েছেন। কিন্তু তারা থেমে থাকেননি। 

অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এভাবেই শুরুটা করেছিলেন আশরাফুন নাহার মিষ্টি । প্রতিবন্ধী নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য , কর্মসংস্থান, বাসস্থান উপযোগী পরিবেশের অধিকারের জন্য  যেমন সংগ্রাম করেছেন। তেমনি রাজধানীর ফুটপাতে চলাচলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশগম্যতার জন্যও সংগ্রাম করেছেন। ফুটপাতে যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা হাঁটতে পারেন, হুইল চেয়ারে চলাচল করতে পারেন, বাসে উঠতে পারেন। তাদের এডভোকেসির কারণেই ঢাকার উত্তরা, কিছু অংশে ফুটপাতের মাথার অংশ ঢালু হয়েছে। কিন্তু সেখানেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে ফুটপাতের উপর মটরসাইকেল চলাচল করায়। এ কারণে খুঁটি, স্টিলের রড দিয়ে ফুটপাতের মাথা বন্ধ করে দিয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বললেও কাজ হয়নি।

অন্যদিকে ফুটপাত উঁচু হওয়ায়, বয়স্ক, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী চার ধরনের জনগোষ্ঠীর কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। ফুটপাতের প্রবেশগম্যতার সুবিধা কেবল প্রতিবন্ধী নারীদের জন্যই প্রযোজ্য নয়, চার ধরনের জনগোষ্ঠীর জন্যই দরকার। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিফট, র‌্যাম না থাকা অর্থাৎ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপরে ওঠা প্রতিবন্ধীবান্ধব না হওয়ার কারণে সমাজের সব মানুষের মতো একই তালে এগিয়ে যেতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এটা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। 
 প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চাহিদা হতে পারে হুইল চেয়ার, সাদা ছড়ি বা সানগ্লাস, একটা ম্যাগনেফাইড গ্লাস। এই জিনিসগুলো তার জীবনকে চালানোর জন্য প্রয়োজন। এটা তার বিশেষ চাহিদা নয়। এটা তার জীবনের প্রয়োজনীয় চাহিদা। মানুষের প্রতিবন্ধিতা বা অক্ষমতা বিবেচনা করে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব । 

আশরাফুন নাহার মিষ্টি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার শিকার হন।  এই বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যামের সামনে খুঁটি  গেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মতে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থাপনাকে যদি এভাবে নষ্ট করে  দেয়, তাহলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ডিগ্রি নিয়ে বের হবেন তারা প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে কি ধারণা নিবে। তাদের ধারণা থাকা দরকার ছিল, আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত যেসকল কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সাময়িক বা স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার  হতে পারেন। সড়ক দুঘটনা, অসুখ, বিসুখের কারণে। তাহলে তারা কি তাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে ছিটকে পড়বেন। তাদের বহিষ্কার করা হবে। তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে। তারা যে সম্মানজনক পজিশনে অবস্থান করছেন সেখান থেকে তাকে বাদ দেওয়া হবে। এই ধরনের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ আমাদের সমাজে রয়েছে। 

একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমস্ত ইন্দ্রিয় অন্য সব স্বাভাবিক মানুষের মতোই। তারা  যে কোনো রোগে ভুগতে পারেন। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ডাক্তার দেখাবেন। এটাই স্বাভাবিক চিত্র হওয়ার কথা। কিন্তু এখানেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নানারকম প্রতিবন্ধিতার শিকার হন। একটি উদাহরণ দিয়ে আশরাফুন নাহার মিষ্টি  জানান, তার দুই সহকর্মীর একজনের একটি পা খাটো। আরেকজন এক পা আরেক পায়ে ভর করে হাঁটেন। তারা দাঁতের চিকিৎসক দেখাবেন। একজন ওয়ার্ড বয় তাদের দেখে বলেন, ডা. সফিউল্লাহ নয়, ডা. বিল্লালের কাছে যান। তাদের ধারণা একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আর কোনো শারীরিক, মানসিক সমস্যা হতে পারে না। এ জায়গাটাতেও আমরা কাজ করছি।

পাঁচটি বিভাগে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শেল্টার হোম রয়েছে । বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী নারীরা আইনগত সহায়তা গ্রহণ করেন। বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিচারচলাকালীন এই সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকেন। এখানকার ব্যবস্থাপনাও প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য প্রযোজ্য নয় ।

স্থাপত্য অধিদপ্তর ও মহিলা অধিদপ্তরের  যৌথ অনুমতি নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শেল্টার হোম পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি বলেন,  এখানে র‌্যামের ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে রাজশাহীর গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন। প্রধান প্রকৌশলী জানান,  ‘ডিজাইনের মধ্যে র‌্যামের উল্লেখ নেই।’

ইউ

সালমান শাহ আবার জন্ম নিল: হত্যা মামলা আদেশে নীলা চৌধুরী

জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি

বুধবার থেকেই শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রতিবন্ধী নারীর জন্য দরকার সঠিক সমর্থন ও সুযোগ 

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প 

ছাত্রী বর্ষার পরিকল্পনাতেই ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ খুন: পুলিশ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে

জবি ছাত্রদল নেতা খুন: জানাজায় বাবার শোক, বিচার দাবি

গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

হাইড্রোলিক হর্ন ও নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানাসহ বাস ডাম্পিং

পর্নকাণ্ডে সক্রিয় বাংলাদেশি দম্পতি বান্দরবানে গ্রেপ্তার

পর্নকাণ্ডে সক্রিয় বাংলাদেশি দম্পতি বান্দরবানে গ্রেপ্তার

হিন্দু ও শিখদের দেশে ফেরার আহ্বান তালেবান সরকারের

সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলা হত্যা হিসেবে তদন্তের নির্দেশ

বন্যা পুনর্বাসন: রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ