
ছবি সংগৃহীত
দাবি পূরণের পর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকেই শিক্ষকরা আবারও শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তারা এই ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দাবি পূরণ ও আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা
অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী জানান, তাদের প্রধান দাবি অর্থাৎ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবি পূরণ হয়েছে এবং এটি তাদের জন্য একটি বড় সাফল্য।
-
তিনি বলেন, "আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমরা আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি।"
-
তিনি সরকারের সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "আন্দোলন না করলে হয়তো শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষে আমাদের দাবি মানা সম্ভব হতো না।"
ক্লাস পুষিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার
আট দিন ধরে শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন শিক্ষক নেতারা।
-
দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, "গত ৮ দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল।"
-
তিনি জানান, যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়নি, সেই আট দিন পুষিয়ে দিতে বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখা হবে।
বাড়িভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে দুই ধাপে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই অর্থ দুই ধাপে দেওয়া হবে:
-
প্রথম ধাপ (৭.৫ শতাংশ): চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া (ন্যূনতম ২,০০০ টাকা) পাবেন।
-
দ্বিতীয় ধাপ (৭.৫ শতাংশ): বাকি ৭.৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ২০২৬ সালের জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে কিছু শর্তও যোগ করা হয়েছে। এসময় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিক্ষক নেতা।
ইউ