
ছবি সংগৃহীত
বাস, ট্রেন কিংবা প্লেন, বাহন যেটিই হোক না কেন, দূরপাল্লার যানবাহনে যাত্রা কতটা সুখকর হবে তা অনেক সময়ই নির্ভর করে সহযাত্রীর উপর। পাশের আসনে যদি মনের মতো কেউ বসেন, তাহলে হয়তো লম্বা যাত্রাপথের অনেকটা গল্প করতে করতেই কেটে যায়। আবার যদি পাশের জনের হাবভাব ভাল না লাগে, তা হলে পুরো সময়টাই একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হয়। নিউজিল্যান্ডের এক দম্পতি তেমনই এক দীর্ঘ যাত্রায় রওনা হয়েছিলেন বিমানে। কিন্তু ১৩ ঘণ্টার উড়ানে পাশের ‘সহযাত্রী’র অসহনীয় কার্যকলাপে এমনই অবস্থা হল, যে নামার পরেই বিমান সংস্থার কাছে টাকা ফেরত চাইলেন তারা।
কী করেছিল ওই সহযাত্রী? অভিযোগ, তিনি নাকি যাত্রাপথের প্রায় পুরোটাই বাতকর্ম করতে করতে গিয়েছিলেন। কখনও সশব্দে, কখনও নিঃশব্দে। কিন্তু এক্ষেত্রে ওই দম্পতির কাছে শব্দের থেকেও বেশি বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল গন্ধ।
জানলে অবাক হবেন, এই ‘সহযাত্রী’ আদৌ মানুষই নয়! সে একটি কুকুর। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন এর বাসিন্দা গিল এবং ওয়ারেন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তাঁদের এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তারা জানিয়েছেন গত জুন মাসে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ফ্রান্সের প্যারিস থেকে নিউজিল্যান্ড ফিরছিলেন তারা। বিমানে উঠেই তারা খেয়াল করেন, প্যাসেঞ্জার সিটে আর পাঁচ জন সাধারণ যাত্রীর মতোই তাঁদের পাশের আসনে বসে রয়েছে একটি কুকুর।
বিমান রওনা দেয় যথা সময়ে। কিন্তু একটু পরেই একটা অদ্ভুত শব্দে চমকে ওঠেন গিল। ‘প্রথমে ভেবেছিলাম আমার স্বামীর মোবাইল থেকে শব্দটা আসছে। কিন্তু তারপর পিছনে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম, কুকুরটা নিঃশ্বাস নিচ্ছে, আর সেটার জন্যই ওরকম অদ্ভুত শব্দ হচ্ছে। আমি তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, ওই আসনে আর বসব না,’ জানিয়েছেন গিল।
কিন্তু বিমানকর্মীদের আসন পাল্টে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তা মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। বাধ্য হয়ে নিজেদের আসনেই বসে থাকতে হয় তাঁদের। গিল জানিয়েছেন, এরপর আরও এক নতুন উৎপাত শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর থেকেই বাতকর্ম করতে শুরু করে কুকুরটি। গন্ধেঅস্থির হয়ে ওঠেন তাঁরা। এমনকী, তাঁর স্বামীর পা রাখার জায়গা দখল করে এমন ভাবেই শুয়ে ছিল কুকুরটি, যে তার মুখ থেকে নিরন্তর লালা ঝরে পড়ছিল ওয়ারেনের পায়ের উপর।
উপায়ান্তর না থাকায় বাধ্য হয়ে সেভাবেই ১৩ ঘণ্টার রাস্তা যেতে হয় জিল এবং ওয়ারেনকে। তবে বিমান থেকে নামার পরেই তাঁরা এমন অস্বস্তিকর যাত্রার জন্য টিকিটের টাকা ফেরত চেয়েছেন বলে জানা গেছে। দ্যা ওয়াল
ইউ