
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
গৃহকর্মীর সুরক্ষা, অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সরকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সরকার ২০১৫ সালের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি গ্রহণ এবং আইএলও কনভেনশন ১৮৯ সমর্থন সত্ত্বেও গৃহকর্মীরা আইনগত স্বীকৃতি, চাকরির চুক্তি, ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষা না পাওয়ায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন। তাই সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হলে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরাম আয়োজিত ‘সময় এখন, গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির। শ্রমিক হিসেবে গ্রাম আইনে অন্তর্ভুক্তির’ শীর্ষক সংলাপ এসব কথা বলেন তারা। মোহাম্মদপুর গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের সভাপতি হুমায়ারা বেগমের সভাপতিত্বে ও ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র অধিকারীর সঞ্চালনায় সংলাপে বক্তৃতা করেন সমাজ সেবা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম ও রাসেল আহমেদ সজীব, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফসিহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাসরিন আহমেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, এস আই মমতাজ বেগম, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপের আহসান হাবিব বুলবুল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শিল্পী সাহা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শাহিদা পারভীন শিখা, গৃহকর্মী জাতীয় ফোরামের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা, সুনীতি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আফরিন আক্তার, গৃহকর্মী মর্জিনা সুলতানা প্রমুখ।
সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহকর্মের কাজ আর অদৃশ্য থাকতে পারে না। এ কাজে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, তদারকি ও শোষণ-নির্যাতন রোধে শক্তিশালী ব্যবস্থা দরকার। কমিশনের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ২৮টি সুপারিশ মন্ত্রণালয় ও সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গৃহকর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ও সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর আওতায় আনতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
জবাবে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, সরকার গৃহকর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। সরকার তাদের অধিকার নিশ্চিত, ন্যায্য আচরণ ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। আরো বলা হয়, গৃহকর্মীদের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ডাটাবেসর করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, টেকসই পরিবর্তনের মূল হলো সম্মিলিত সহযোগিতা। বিভিন্ন পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে গৃহকর্মীদের দক্ষতা, স্বীকৃতি ও মর্যাদা অর্জনের পথ তৈরি হয়। সুনীতি প্রকল্পসহ সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ এই সহযোগিতাকে আরো শক্তিশালী করছে। গৃহকর্মীদের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের সমন্বয় অপরিহার্য।
ইউ