
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
৩০ মাস মেয়াদি (২০২৫- ২০৩০) পারায়ন প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৬০ লাখ নারী ও যুব'র অধিকার, সুরক্ষায় কাজ করবে। ১ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগী জেন্ডার বেইসড সহিংসতা, সুরক্ষা, নারীর অধিকারের উপর শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় অপরাজেয় বাংলাদেশের আয়োজনে পারায়ণ প্রকল্পের আওতায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের নাগরিকতা. সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ডের সহায়তায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাথে এক সভায় বক্তারা একথা বলেন।
নাগরিকতা. সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জি এফএ কনসালটিং গ্রুপের নাগরিকতা প্রোগ্রামের সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ডের টিম লিডার ড. আদি ওয়াকার। দস্বাগত বক্তব্য দেন অপরাজেয় বাংলাদেশের নিবাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু স্বপ্না।
পারায়ণ প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেন পারায়ণ প্রকল্পের টিম লিডার উম্মে কাউসার সুমনা। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কমপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ তুলে ধরেন জাতীয় একশন পরিকল্পনা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের ওসিসির প্রোগ্রাম অফিসার হালিমা বেগম। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন নাগরিকতা. সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট আজিজা আসফিন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফারহানা আফরোজ, সমাজ বিষয়ক বিভাগের ডেপুটি সুপারভাইজার ইয়াসমিন সুলতানা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের এন এইচ সি বিভাগের এন এইচ এস পি রাসেল হোসেন, মিরপুর ২ এর দুয়ারীপাড়ার কমিউনিটি টাউন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ স্মৃতি সরকার।
ড. আদি ওয়াকার বলেন, নাগরিকতা কমসূচীর উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ সরকার এবং নাগরিক সমাজের সাথে সংলাপের সুযোগ বাড়ানো। এলক্ষ কয়েকটি উদোগ নেওয়া হয়েছে। সকল স্তরের বিভিন্ন নাগরিকের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো এবং তাদের সংগঠিতকরা।
নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলির মধ্যে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করা। আরও প্রতিক্রিয়াশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালার লক্ষ্যে সিএসও, ব্যক্তি এবং সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং সংলাপ বাড়ানো। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলির সক্ষমতা বাড়ানো, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা তৈরি করা।
তিনি আরো বলেন, এই কাজটি পরিচালনা করতে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি নিয়েছি। এছাড়াও কাজের আত্মসমালোচনা করা, স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা, বৃত্তের বাইরে চিন্তাভাবনা এবং কাজ করাকে গুরুত্ব দিয়েছি। কাজের গুণমান এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর মনোযোগ দিয়েছি। এক্ষেত্রে সহায়ক নীতি অনুসরণ করেছি।
ওয়াহিদা বানু স্বপ্না বলেন, প্রতি জেলায় ১০৭ প্যানেল আইনজীবী রয়েছেন। কোনো মামলা হলে তারা সেই মামলার দায়িত্ব নেয়। সেই মামলার খরচ বহন করে অপরাজেয় বাংলাদেশ। পরিবর্তন কর্ণারে কোনো নারী, যুব, মা, মেয়ের আইনী সহায়তা লাগলে এর আওতায় তারা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা থেকে আইনী সহায়তা পেতে পারবেন ।
উম্মে কাউসার সুমনা বলেন, পারায়ণ প্রকল্পের আওতায় নারী- যুবর দক্ষতা বাড়াতে কাজ করছে। এসডিজি ৫ এর জেন্ডার সমতা এবং শান্তি বিচারের সহায়তায় কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবর্তন কর্ণারে একজন নারী কাউন্সিলরের মাধ্যমে নারীদের সমস্যার কথা শুনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও উঠোন বৈঠকের মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তারা বলেন আমরা আজ একা নই।
আজিজা আসফিন বলেন, আমাদের প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নারী, যুব ও মাজিনাইজ পিপলসের জীবন দক্ষতা বাড়ানো। তাদের মধ্যে ট্রান্স জেন্ডারও রয়েছে। আমাদের সাতটি কোয়ালিশন অংশীদার কাজ করছে।
হালিমা বেগম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা বিষয়ক, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি ইত্যাদি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন।
কমিউনিটি বেইসড পরিবর্তন কর্ণারের দাবি জানিয়েছেন স্মৃতি সরকার।
ইউ