ঢাকা, বাংলাদেশ

শুক্রবার, , ০৯ মে ২০২৫

English

মিডিয়া

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক নির্যাতনের হাতিয়ার’

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ২১:৪১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক নির্যাতনের হাতিয়ার’

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক নির্যাতনের হাতিয়ার’

সাইবার নিরাপত্তা আইনকে সাংবাদিক নির্যাতনের হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছে সম্পাদক পরিষদ। 

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। 


বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের মতো তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ। 

প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাক্‌স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা—এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। 


এতে আরও বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত একধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

//এল//

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কী-না, সিদ্ধান্ত জনগণের: মঈন খান

নিরাপত্তা শঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

মঞ্চে জুমার নামাজ আদায় শেষে আন্দোলনকারীদের সমাবেশ শুরু

সমাবেশ ঘিরে যমুনার সামনে নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা

পাকিস্তানে ভারতের হামলার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন?

অবৈধ ব্যাটারী কারখানার বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ 

রাতে নিখোঁজ, সকালে মিলল যুবকের মরদেহ

বলিউডে নাম লেখাচ্ছেন শচীনকন্যা!

ব্যাংক এশিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা

পাক-ভারত যুদ্ধ যেন পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত না হয়: যুক্তরাষ্ট্র

কারাগারে আইভী

দিল্লিতেও উচ্চ সতর্কতা জারি 

সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে

গ্রেপ্তারের পর যা বললেন সাবেক মেয়র আইভী