
‘জয়া আলোকিত নারী’ সম্মাননা পেলেন ৬ মহীয়সী
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অনেক মহীয়সী নারী বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। এসব আলোকিত নারীদের মধ্য থেকে ছয়জনকে ‘জয়া আলোকিত নারী ২০২৩’ সম্মাননা প্রদান করেছে আরটিভি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এবার নবমবারের মতো ‘জয়া আলোকিত নারী’ সম্মাননা প্রদান করল দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। এই আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর ছিল এসএমসি।
এবারের ‘জয়া আলোকিত নারী ২০২৩’ সম্মাননা পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় নারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আশালতা বৈদ্য, সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, গবেষণায় প্রাণরসায়ন ও জিনতত্ত্ববিদ অধ্যাপক হাসিনা খান, সমাজসেবায় শিক্ষক শেফালী বেগম, নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে তাসলিমা মিজি এবং ক্রীড়ায় এলিনা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি বলেন, সমাজের যেসব নারী তাদের কাজের মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করে সফল হয়েছেন, তাদেরকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। যেন তাদের সফলতা দেখে সবাই অনুপ্রাণিত হতে পারে। যেসব আলোকিত নারী তাদের কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে, তাদেরকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে আমরা স্মরণ করি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকে ‘জয়া আলোকিত নারী ২০২৩’ সম্মাননা প্রদান করছি।
তিনি বলেন, সমাজের এত সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের অনেক মহীয়সী নারী সমাজ ও রাষ্ট্রের উচ্চ-আসনে অধিষ্ঠিত। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় আরটিভিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্যে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, নারী আত্মদান করেছে, নিজেকে উৎসর্গ করেছে। কিন্তু পিছু হটেনি। আইয়ুব খানকে ডিফেন্ড করার জন্য আমরা কোনো পুরুষকে পাইনি। তখন ফাতেমা জিন্নাহর আঁচল ধরেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছি। এভাবে আমাদের রাজনীতি বা রাজ্য পরিচালনাসহ বিভিন্ন সংকটে ঝাঁসির রানি থেকে শুরু করে চাঁদ সুলতানা ও বীরঙ্গনা সখিনারা এগিয়ে এসেছেন। নারীরা সব সংকটে পুরুষের পিছু হটাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে গেছে। কিন্তু নারীদের অনেক আত্মদান আমাদের অজানা রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় নারীদের কিছু বিশেষ গুণাবলি রয়েছে। নারীদের এই বিশেষ গুণকে স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে দেখে মূল্যায়ন করতে হবে। এটা না করলে তারাই (পুরুষ) সভ্যতা বিবর্জিত হিসেবে বিবেচিত হবে। নারীকে তার ভাগ্য জয় করার জন্য যদি পুরুষরা পাশে দাঁড়ায় এবং সহযোগিতা করে তবে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পুরুষের কাছে আমি এটুকুই আশা করি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিম উদ্দিন খান, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি, কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া, এসএমসি এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) খন্দকার শামীম রহমান প্রমুখ।
সম্মাননা প্রধান অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য, ফ্যাশন শো ও সংগীত পরিবেশন করা হয়।
//এল//