
সংগৃহীত ছবি
ডিজিটাল অধিকার, নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার লক্ষ্যে আজ লালমাটিয়ার এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ-এ দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে অধিকারভিত্তিক গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস’।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রভাব’ শীর্ষক এই কর্মশালায় সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও ডিজিটাল অধিকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান ডিজিটাল বাস্তবতায় নজরদারি, অনলাইন হয়রানি, ভুল তথ্য প্রচার, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা, সাইবার অপরাধ এবং ইন্টারনেট শাটডাউনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
অতিথি বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউএনডিপির স্যোশাল প্রোটেকশন পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রামের যোগাযোগ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক এস. এম. মনজুর রশীদ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট-ফর-প্রফিট-ল-এর আইন বিষয়ক পরামর্শক শারমিন খান এবং ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ।
কর্মশালায় ডিজিটাল অধিকার কী, ইন্টারনেট শাটডাউনের প্রভাব এবং নিরাপদে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে মূল বক্তব্য পরিবেশন করেন ভয়েসের উপ-পরিচালক, মুশাররাত মাহেরা।
মনজুর রশীদ বলেন, “ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করে একটি ক্যাম্পেইন গড়ে তোলা দরকার। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যাতে এই ইস্যুটি নীতিনির্ধারকরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এবং রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করে।”
শারমিন খান বলেন, “আমাদের আইনগুলোকে আন্তর্জাতিক মান ও নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে বিভিন্ন খাতের মানুষ যেমন শ্রমিক, তৃণমূল জনসাধারণের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে, যেন তারা তাদের চাহিদার কথা জানাতে পারেন। কেবল তখনই আইনগুলো মানবাধিকারভিত্তিক হবে।”
গনমাধ্যম স্বাক্ষরতা বা মিডিয়া লিটারেসির গুরুত্ব তুলে ধরে রিয়াজ আহমদ বলেন, “যারা ডিজিটাল অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং যারা সচেতন নন, এই দুই শ্রেণির মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য উৎস ছাড়াই তথ্য শেয়ার করা ডিজিটাল পরিসর ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ্একটি প্রতিবন্ধকতা।”
আলোচনার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে যৌথ কৌশল নির্ধারণ করেন।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কার্যকর হয় না। এই দুটি অধিকার একে অপরের পরিপূরক।”
কর্মশালায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা, ইন্টারনেট শাটডাউনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা বাড়ানো এবং মানবাধিকারের পক্ষে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
//এল//