সাংবাদিক সোহেল সানি
অপলক ছবি দেখছি নিপুণ এক শিল্পী'র -
দেহে রূপ তার ধরে না,
ঈশ্বর স্রষ্টা সমস্ত মাধুরী মেশানো তাঁর দেহটির,
যেখানে যেমনটি হলে মানায়,
তেমনিই তাঁর সুগঠিত অবয়ব।
সর্বশরীর দিয়ে যেন রূপ-সুধা ঝরে পড়ে।
কোমলমতি জীবনের ছিপছিপে গড়ন,
আর অনিন্দ্য সুন্দর দেহবল্লরী ক্রম-রংবিন্যাসে অতলান্ত হলেও-
রূপেগুণেস্বাস্থ্যে অনবদ্য চরিত্রে
রূপান্তর ঘটেছে তাঁর।
তাঁর মনকাড়া উচ্ছ্বসিত হাসি, আর রূপ-গুনের সংমিশ্রণ -
ব্যক্তিত্বেরই এক ব্যতিক্রমী পরিস্ফুটন।
বিনিদ্র-রজনীর হা-হুতাশেও স্বপ্নের রাজকুমারী।
সম্রাট পত্নী-প্রেমের পরাকাষ্ঠা স্মৃতির যে মর্মরগাঁথা গড়েছেন,
সেই পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্য
তাজমহলের দেখা এক দিবাস্বপ্নে....
মধ্যবয়সী এক নবপরিনীতা তাঁর বরকে বলছে -
"তুমি যদি আমার জন্য এমনি সমাধিসৌধ গড়ে দিতে পারো,
তা হলে এই মূহুর্তে আমি মরে যাবো।"
বরের মন প্রশান্তিতে ভরে ওঠে,
রাশভারি নবপরিণীতা সমস্ত মুখমন্ডলে অজস্র চুম্বন বর্ষণ করে যুদ্ধাংদেহী বর।
নবপরিণীতাও তাঁর বাহুডোরে জড়িয়ে প্রিয়তম বরের দু'হাত আঁকড়ে ধরে-
নবদম্পতির চোখ ভেসে গেছে আনন্দাশ্রু জলে।
প্রখর রৌদ্রতেজে বরের সোনার বর্ণ লাল হয়ে ঘাম ঝরছে,
বেনারসি পরিহিতা পরিনীতা বুক হতে আঁচল নামিয়ে-
বরের ঘর্মাক্ত দেহটা মুছে দেয় আপনমনে।
পরিনীতার প্রেমাবেগ বরের হৃদয়কে করে স্পর্শ,
জীবনের স্পন্দন উপলব্ধ হয়-
হৃদয়ের তন্ত্রীবাদ্যে বেজে ওঠে সঙ্গমের সুর।
//জ//