
ছবি সংগৃহীত
প্রেগন্যান্সির ৯ মাস ভাবী মায়েদের কাছে অত্যন্ত ‘স্পেশাল’। গর্ভাবস্থায় সিঁড়ি ভেঙে ওঠা-নামা করলে কী ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে! কয়েকজন স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞ ‘প্রেগন্যান্সি’ নিয়ে এমন কিছু এক্সপার্ট কমেন্ট্রি দিতে পারেন যা শোনার পরই ভাবী মায়ের পিলে চমকে উঠবে। এই যেমন ধরুন, অনেক অভিজ্ঞ মহিলাই সদ্য গর্ভবতীদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করতে বারণ করেন। এতে নাকি গর্ভস্থ নারী ও তাঁর সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে বলে তাঁদের দাবি। আর পরিবার বা পাড়া প্রতিবেশীদের মুখে এমন সতর্ক বাণী শোনার পরই গর্ভবতী নারীরা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা একদম বন্ধ করে দেন।
আদৌ কি গর্ভাবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করা উচিত নয়? এতে কি সন্তানের ক্ষতি হতে পারে? এই বিষয়টি সম্পর্কে ধোঁয়াশা দূর করলেন কলকাতার বিশিষ্ট গাইনিকোলজিস্ট ডা. জয়তী মণ্ডল।
জয়তী মণ্ডল বলেন, এই ধারণা মিথ ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং আজকাল গর্ভবতী নারীদের ডেলিভারির আগের দিন পর্যন্ত হেঁটে-চলে বেড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকী তাঁরা অনায়াসে সিঁড়ি ভেঙে ওঠা-নামা করতেও পারেন। এতে কোনো রকম অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই অহেতুক কোনও স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞের মতামত শুনে গর্ভাবস্থায় সিঁড়ি ওঠা-নামা বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর কথা মতো চলুন। তাহলেই এই সময়টা হেসে-খেলে পেরিয়ে যেতে পারবেন।
স্বাভাবিক প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে সিঁড়ি ওঠা-নামায় কোনো বাধা না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু সাবধান হতে হবে। যেমন ধরুন- আইভিএফ-এর মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি এলে কিংবা বারবার মিসক্যারেজের পর প্রেগন্যান্সি এলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সিঁড়ি ওঠা-নামা বা অন্য কোনও ব্যায়াম করবেন না। বরং বিশেষজ্ঞের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই সিঁড়ি ওঠা-নামা করুন। এতেই এড়িয়ে যেতে পারবেন একাধিক সমস্যার ফাঁদ।
সিজারিয়ান ডেলিভারির পর সদ্য মায়ের বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই তাকে এই সময়টায় হাঁটাচলা এবং সিঁড়ি ওঠা-নামা করতে বারণ করা হয়। এই নিয়মটা মেনে চললেই তিনি মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠবেন। তারপর একদম স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। এমনকী ধীরে ধীরে সিঁড়ি ওঠা-নামা করতে পারবেন। তাই এই নিয়ে বেশি চিন্তা করে লাভ নেই।
প্রেগন্যান্সিতে বিশ্রাম নেয়া চলবে না
জয়তী মণ্ডলের কথায়, প্রেগন্যান্সিতে একদম স্বাভাবিক ‘লাইফ লিড’ করুন। যেমন অফিস যেতেন, তেমনই অফিস যান। কোনো বাধা নেই। বরং হাঁটা-চলা না করে সারাদিন শুয়ে-বসে থাকলেই সমস্যা বাড়বে।
শুধু তাই নয়, এই সময়ে গর্ভের সন্তানের খেয়াল রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দিনে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম করতেও পারেন। এতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
ইনফেকশন এড়িয়ে চলুন
গর্ভাবস্থায় ভাইরাল ইনফেকশনের ফাঁদে পড়লে গর্ভবতী নারী এবং তার গর্ভস্থ সন্তান জটিল সমস্যার মুখে পড়তে পারে। তাই এই সময় যেন তেন প্রকারেণ ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে হবে। আর এই কাজটা করার জন্য ঘরের বাইরে বেরলে মাস্ক পরুন, মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিন এবং ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলুন। আশা করছি, এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে। এই সময়
ইউ