
ছবি সংগৃহীত
জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
শনিবার (৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এখন থেকে সরাসরি বা কোনো ঘুরপথে পাকিস্তান থেকে কোনো পণ্য আমদানি করার অনুমোদন দেয়া হবে না।” ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে সরাসরি দায়ী করে।
এই ঘটনার পর নয়াদিল্লি কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে একাধিক প্রতিক্রিয়া জানায়—সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং ভিসা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। এর পাল্টা জবাবে ইসলামাবাদও ভারতের বিরুদ্ধে স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিল এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান থেকে ভারতে সরাসরি বাণিজ্যিক প্রবাহ অনেক আগেই কমে গেছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত বেশ কয়েকটি পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং মোস্ট ফেভার্ড নেশন (MFN) তালিকা থেকেও বাদ দেয়।
সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা পণ্যের পরিমাণ ছিল সামান্য। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান থেকে মাত্র ৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আমদানি করেছে ভারত, যা এক বছর আগের তুলনায় ২০ লাখ ডলারেরও কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুবাইয়ের মতো তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যেসব পণ্য পাকিস্তান থেকে আসত, সেগুলো ঠেকাতেই এবার আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার পথ বেছে নিয়েছে ভারত।
ইউ