
ছবি সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লক্ষ্যে শনিবার (৩ মে) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের পরবর্তী নেতা ঠিক করতে ভোট দিচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বাধীন বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন, যার নেতৃত্বে আছেন পিটার ডাটন।
নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি আসন এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে ভোট হচ্ছে। এরই মধ্যে রেকর্ড ৮০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ এবং অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের ভোট না দিলে ১৩ ডলার জরিমানা গুনতে হবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য ৮৩টি দেশে ১১১টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বার্লিন, হংকং, লন্ডন ও নিউইয়র্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো।
এবারের নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং আবাসন খরচ ভোটারদের কাছে প্রধান ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শেষে প্রাথমিক অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা শুরু হবে, তবে চূড়ান্ত ফলাফল আসতে কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
প্রতিনিধি পরিষদে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে কমপক্ষে ৭৬টি আসনে জয় পেতে হবে। এবার অস্ট্রেলিয়া কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় ফেরায়, তা নির্ধারণ করবে আজকের এই ভোট।
ইউ