ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪

English

এক্সক্লুসিভ

নারীরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিলুপ্ত ছিটমহলের অর্থনীতি 

শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট থেকে:

প্রকাশিত: ২০:০৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

নারীরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিলুপ্ত ছিটমহলের অর্থনীতি 

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে থাকা ১৬২ টি  ছিটমহল বিনিময় হয়েছে ৮ বছর প্রায়।  ছিটমহল গুলো এখন মূলভূখন্ডের সাথে মিলেমিশে একাকার।  চারিদিকে শোভা পাচ্ছে উন্নয়নের ছোঁয়া। 
ছিটমহল বিনিময়ে সবচেয়ে উপকৃত হয়েছে নারীরা।  তারা পেয়েছে আত্মসম্মান ও মর্যাদা। ২০১৫ সালে ৩১ জুলাইয়ের আগে এই ছিটমহল গুলোর নারীর কোন নূন্যতম সম্মান ছিল না। নারী নির্যাতনের ঘটনায় কোন আইনগত সহায়তা পাওয়ার উপায় ছিলনা। এখন সেই চিত্র অতীত।

 নারীরা এখন সম্মানিত। নারী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নারীরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিলুপ্ত ছিটমহলের অর্থনীতি। তারা পরিবারকে সমৃদ্ধির পথ দেখাচ্ছে। 

বাংলাদেশ  ও ভারতের ভিতরে থাকা উভয় দেশের ১৬২টি ছিটমহলে  ৬ জুলাই ২০১৫ সালে  বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানা জরিপের হয়। এ জরিপে ছিটমহলের আর্থসামাজিক অবস্থা স্পষ্ট হয়ে যায়।  যার কারনে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিটমহল বিনিময় চুক্তি আনুষ্ঠানিক ভাবে হয়ে যায়। এই দিনের পর থেকে ছিটমহল নামে জনপদ বিলযপ্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর আয়তনের ভারতের ১১১টি ছিটমহল হয়ে যায় বাংলাদেশের মালিকানায়। অন্যদিকে, ভারতের মধ্যে থাকা সাত হাজার ১১০ দশমিক শূন্য দুই একর আয়তনের বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের মালিকানায় হয়ে যায়। পৃথিবীর বুকে একমাত্র ঘটনা কোন রক্তপাতহীন ভাবে দুইটি স্বাধীন দেশের মধ্যে ভূখন্ড বিনিময়। এতে বদলে যায় বাংলাদেশ ও ভারতের মানচিত্র। সেই সঙ্গে সাঙ্গ হয়ে যায় দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দী মানবতার ছিটমহল জীবনের।  
১ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশের ভূখন্ডে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ভারতের পূর্ববর্তী ১১১টি ছিটমহলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ে। বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলে সাড়ে ৪১ হাজারের মধ্যে  ৯৭৯ জন ভারতের নাগরিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারতে চলে যায়।

 এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার দাসিয়ারছড়া  থেকে মোট ২৮৪ জন ভারতে চলে যাবার অপশন দিয়ে ভারতে গেছে। 
ভারত হতে বাংলাদেশের কেউ নাগরিকত্ব গ্রহন করতে চায়নি। তাই ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ ভারতের যৌথভাবে শূন্য পয়েণ্টে আনুষ্ঠানিকতা করে ভারত তাদের গ্রহন করেন। 

ছিটমহল থাকাকালীণ সময়ে ছিটহলের নারীদের কোন নূন্যতম অধিকার ছিল না। ছিটমহলে  দুই দেশের কোন আইন কানুন প্রচলিত না থাকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা হরহামেশায় ঘটেছে। আবার অপরাধিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল ছিটমহল গুলো। ফলে অপরাধিরা এখানে এসে আশ্রয় নিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। সুবিধামত সময়ে মূলভূখন্ডে ফিরে গিয়ে আর ছিটমহলের বিবাহিত জীবনের স্বীকৃতি দেয়নি। যার কারনে ছিটমহলে বহু নারীর সন্তানের কোন সামাজিক স্বীকৃতি নেই। 
ছিটমহল বিনিময় যখন চুড়ান্ত ঠিক তখনি পাটগ্রামের ছিটমহলে ঘটে যায় লোমহর্ষ ঘটনা। এক নারীকে হত্যা করে ফেলে রেখে ভারতে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। আইনগত জটিলতার কারনে মৃতদেহ সেখানে গলেপচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। পরবর্তীতে ভারত সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশ পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে পাঠায়।

 ভারত সরকার লাশের পোষ্টমডেম শেষে বাংলাদেশ সরকারকে লাশটি হস্তান্তর করে। কারন নারীর পৈত্তিক ভিটা ছিল বাংলাদেশে। এই হত্যার ঘটনায় মামলা হয় ভারতের কুচবিহারে।  এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিটি বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষ বাংলাদেশের মূলভূখন্ডের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। ছিটমহলের রাস্তাঘাট পাঁকা হয়েছে। কর্মসংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নারীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ ও ভারতের  অভ্যন্তরে বিনিময় হওয়া ছিটমহল গুলো পঞ্চগড় জেলার সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ভেতরে ছিটমহল রয়েছে ৩৬টি। এগুলো হলো জেএল ৭৫ নম্বর গারাতি, ৭৬ নম্বর গারাতি, ৭৭ নম্বর গারাতি, ৭৮ নম্বর গারাতি, ৭৯ নম্বর গারাতি, ৮০ নম্বর গারাতি, ৭৩ নম্বর সিঙ্গিমারী (অংশ-১), ৬০ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৮ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৭ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৯ নম্বর পুটিমারী, ৫৬ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৪ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৩ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫২ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫১ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫০ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪২ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৯ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৫৫ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৮ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৬ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৭ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৫ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪৪ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৪১ নম্বর নাজিরগঞ্জ, ৩৮ নম্বর দইখাতা, ৩৭ নম্বর শালবাড়ি, ৩৬ নম্বর কাজলদীঘি, ৩২ নম্বর নাটকটোকা, ৩৩ নম্বর নাটকটোকা, ৩৪ নম্বর বেহুলাডাঙ্গা (২ টুকরো), ৩৫ নম্বর বেহুলাডাঙ্গা, ৩ নম্বর বালাপাড়া খাগড়াবাড়ি, ২ নম্বর কোটভাজনী (৪ টুকরো) ও ১ নম্বর দহলা খাগড়াবাড়ি (৬ টুকরো)। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে রয়েছে চারটি ছিটমহল। এগুলো হলো জেএল ২৮ নম্বর বড় খানকিবাড়ি, ২৯ নম্বর বড় খানকি খারিজা গিদালদহ, ৩০ নম্বর বড় খানকি খারিজা গিদালদহ ও ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়ি।

লালমনিরহাট সদর, পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলার অভ্যন্তরে রয়েছে ৫৯টি ছিটমহল। এগুলো হলো জেএল ১৫৩/পি নম্বর পানিশালা, ১৫৩/ও নম্বর পানিশালা, ১৮ নম্বর দিশারী খামারি খুশবুস, ১৯ নম্বর পানিশালা, ১৭ নম্বর পানিশালা, ১৭/৫ নম্বর কামাত চেংড়াবান্ধা, ১৬ নম্বর বোটবাড়ি, ১৬/এ কামাত চেংড়াবান্ধা, ২১ নম্বর পানিশালা, ২০ নম্বর লতামারি, ২২ নম্বর লতামারি, ২৫ নম্বর ডারিকামারি, ২৩ নম্বর ডারিকামারি, ১৪ নম্বর লতামারি, ১০ নম্বর খরখরিয়া, ১৪ নম্বর খরখরিয়া, ১০১ নম্বর ফুলকারবাড়ি, ১২ নম্বর বাগডাকিয়া, ১১ নম্বর রতনপুর, ৭ নম্বর উপেন চৌকি কুচলিবাড়ি, ১১৫/২ উপেন চৌকি কুচলিবাড়ি, ৬ নম্বর জামালদহ বালাপুকুরি, ৫ নম্বর বালাপুকুরি, ৪ নম্বর বালাখাঙ্গির, ৮ নম্বর ভোটবাড়ি, ৯ নম্বর বড়খাঙ্গির, ১০ নম্বর বাগডাকিয়া, ২৪ নম্বর ভোটহাট, ১৩১ নম্বর বাঁশকাটা, ১৩০ নম্বর বাঁশকাটা, ১৩২ নম্বর বাঁশকাটা, ১৩৩ নম্বর ভোয়ারামগুড়ি, ৩৮/৩৯ কুচবিহারের একটি ছিট, ১৩৪ নম্বর চেনাকাটা, ১১৯ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৮ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৭ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৮ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৬ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৩ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৪ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৫ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৯ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৬ নম্বর বাঁশকাটা, ১২৭ নম্বর বাঁশকাটা, ১২০ নম্বর বাঁশকাটা, ১২১ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৩ নম্বর বাঁশকাটা, ১১২ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৪ নম্বর বাঁশকাটা, ১১৫ নম্বর বাঁশকাটা, ১২২ নম্বর বাঁশকাটা, ১০৭ নম্বর বড় কুচলিবাড়ি, ২৬ নম্বর কুচলিবাড়ি, ২৭ নম্বর কুচলিবাড়ি, ১৩৫ নম্বর গোতামারি, ১৩৬ নম্বর গোতামারি, ১৫১ নম্বর বাঁশ পচাই ও ১৫২ নম্বর ভিতরকুটি। কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ি, ভুরুঙ্গামারী ও উপজেলার অভ্যন্তরে ছিটমহল রয়েছে ১২টি। এগুলো হলো জেএল ১৫০ নম্বর দাসিয়ারছড়া, ১৪৯ নম্বর ছোট গাড়োলঝাড়া পিটি ১১, ১৪৮ নম্বর ছোট গাড়োলঝাড়া পিটি ১, ১৪৪ নম্বর দীঘলটারি, ১৪৫ নম্বর দীঘলটারি, ১৪৬ নম্বর গাওচুলকা, ১৪৭ নম্বর গাওচুলকা, ১৪৩ নম্বর বড় গাওচুলকা, ১৪২ নম্বর সেউতি কুর্শা, ১৫৩ নম্বর সাহেবগঞ্জ, ১৪১ নম্বর ছিট কালামাটি ও ১৫৬ নম্বর ডাকুরহটি ডাকিনিরকুটি। ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহল  ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার অধীনে ৫১টি ছিটমহল রয়েছে। এগুলো হলো জেএল ২২ নম্বর কুচলিবাড়ি, ২৪ নম্বর কুচলিবাড়ি, ২১ নম্বর বালাপুকুরি, ২০ নম্বর পানবাড়ি, ১৮ নম্বর পানবাড়ি, ২১ নম্বর বামনজল, ১৪ নম্বর ধবলশুতি, ১৫ নম্বর ধবলশুতি মৃগিপুর, ১৪ নম্বর ধবলসুতি, ৩৫ নম্বর ল্যান্ড অব জগৎবেড়-১, ৩৬ নম্বর ল্যান্ড অব জগৎবেড়-২, ৩ নম্বর জোত নিজ্জামা, ৩৭ নম্বর জগৎবেড়, ৮ নম্বর শ্রীরামপুর, ৪৭ নম্বর কোকোবাড়ি, ৬৭ নম্বর ভান্দেরদহ, ৫২ নম্বর ধবলগুড়ি, ৭২ নম্বর ধবলগুড়ি (নং-৫), ৭১ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি, ৩২ নম্বর ধবলগুড়ি, ৭০ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি-৩, ৬৮ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি, ৬৯ নম্বর ল্যান্ড অব ধবলগুড়ি, ৫৪ নম্বর মহিষমারি, ৬৪ নম্বর ফলনাপুর, ৬৫ নম্বর (৩ টুকরো) নলগ্রাম নম্বর-১, ৬৬ নম্বর (২ টুকরো) নলগ্রাম, ১৩ নম্বর শ্রাধুবল, ৫৭ নম্বর আমজল, ৮২ নম্বর কিসামত বাত্রিগাছ, ৮১ নম্বর (২ টুকরো) বাত্রিগাছ, ৮৩ নম্বর দুর্গাপুর, ১ নম্বর বনসুয়া খামার গিদালদহ, ৮ নম্বর কিসামত বাত্রিগাছ, ৮ নম্বর শিবপ্রসাদ মোস্তাফি, ৯ নম্বর (৩ টুকরো) করলা, ১৪ নম্বর (৩ টুকরো) উত্তর ধলডাঙ্গা, ১ নম্বর উত্তর বাঁশজানি, ২ নম্বর উত্তর মশালডাঙ্গা, ১১ নম্বর পূর্ব মশালডাঙ্গা, ৩ নম্বর (৬ টুকরো) মধ্য মশালডাঙ্গা, ৬ নম্বর (৬ টুকরো) দক্ষিণ মশালডাঙ্গা, ৫ নম্বর কচুয়া, ৪ নম্বর (২ টুকরো) পশ্চিম মশালডাঙ্গা, ৭ নম্বর পশ্চিম মশালডাঙ্গা, ৮ নম্বর মধ্য মশালডাঙ্গা, ১০ নম্বর (২ টুকরো) পূর্ব মশালডাঙ্গা, ১৭ নম্বর তিলাই, ৪০ নম্বর পূর্ব বাকালিরছড়া, ৩০ নম্বর মধ্য বাকালিরছড়া, ৩৮ নম্বর পশ্চিম বাকালিরছড়া ও ৩৭ নম্বর পাথরডুবি। এই ১৬২ টি ছিটমহলের তালিকা ১৯৯৬ সালে কলকাতায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) এবং বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে দুই দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিটমহলগুলোর সর্বশেষ তালিকা প্রণয়ন করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল এ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।  বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে। ছিটমহলের অধিবাসীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যেতে চাইলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।  বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত  চুক্তি-১৯৭৪ সালের (ইন্দিরা - মুজিব চুক্তি) আলোকে ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়ন হয়। এই চুক্তি বাস্তবায়নে  ২০১১ সালে সীমান্ত চুক্তির প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে ছিল। 

২০১১ সালের যৌথ জনগণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের মানুষের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৩ জন এবং আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর জমি। ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলে মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন এবং আয়তন ৭ হাজার ১১০ দশমিক শূন্য ২ একর জমি। ছিটমহলের যাঁরা আগের নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান না। কেউ বাংলাদেশ হতে ভারতে আবার কেউ ভারত হতে বাংলাদেশে আসতে চায়। তাঁদের দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা ছবি, প্রবেশ পাসসহ প্রয়োজনীয় দলিল ও তথ্য সংগ্রহ করেন। ছিটমহলের লোকজন যাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বিঘেœ নিজেদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং বহনযোগ্য সম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেন, দুই দেশের সরকার তা নিশ্চিত করেন। আর যাঁরা ছিটমহল থেকে বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মূল ভূখন্ডে  ফিরতে চান দুই দেশের সরকারের পরস্পরের সহযোগিতার ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেটির সুরাহা করেন । বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের হলদিবাড়ি, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধার শূন্য পয়েণ্টে দিয়ে  আসা-যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দুদেশের যৌথ জরিপ অনুযায়ী ১৬২টি ছিটমহলে সাড়ে ৫৫ হাজারের মত মানুষ রয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলে সাড়ে ৪১ হাজারের মধ্যে  ৯৭৯ জন ভারতের নাগরিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারতে চলে যায়। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার দাসিয়ারছড়া  থেকে মোট ২৮৪ জন ভারতে চলে যাবার অপশন দিয়ে ভারতে গেছে। 

//এল//

পিরোজপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে

নিজের নামে স্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর না

ভারতেকর বিপক্ষে টাইগ্রেসদের লক্ষ্য ১৫৭

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব

প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেডি-টু-কুক ফিশ সামগ্রী তুলে দিলেন মন্ত্রী

ফুলবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১, আহত ৩

১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ

একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

ইউএস ট্রেড শোতে ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন

চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটের মৃত্যু

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

মিস ইউএসএ খেতাব ফিরিয়ে দিলেন নোয়েলিয়া ভয়েট

সোহেল চৌধুরী হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

কমলাকান্দায় নির্বাচনে হেরে বিজয়ী কর্মীদের ওপর হামলা

সন্ধ্যায় ঝড়ের পূর্বাভাস