ঢাকা, বাংলাদেশ

শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

English

এক্সক্লুসিভ

হাজংদের জীবন সংগ্রাম

উইমেনআই প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ২৮ মার্চ ২০২৪

হাজংদের জীবন সংগ্রাম

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের একটি আদি নৃগোষ্ঠী হাজং।তারা মূলত ময়মনসিংহ জেলার পর্বত সংলগ্ন মূলত শ্রীবর্দি, ঝিনাইগাতি, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, নালিতাবাড়ী, সুসং দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বিরিশিরি এলাকায় হাজংদের বসবাস।এর বাইরে শেরপুর, সিলেট ও নেত্রকোনা অঞ্চলেও তারা বসবাস করে। বাংলাদেশে বসবাসরত হাজংয়ের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।

নৃবিজ্ঞানীদের মতে, হাজংদের আদি নিবাস উত্তর বার্মায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে তাদের পূর্ব পুরুষ ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় প্রথমে প্রবেশ করে। সেখান থেকে আসামের কামরূপ জেলার হাজো নামক স্থানে বসতি স্থাপন করে। সপ্তদশ শতকে আসাম থেকে মুঘলদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে গারো পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। এরপরে সমতলভূমিতে বসতি স্থাপন করে।


প্রাচীনকাল থেকেই  কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। দেশভাগের পূর্বে ময়মনসিংহ জেলায় হাজংরা চাষাবাদের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসকারী হাজং জনগোষ্ঠীর আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। শিক্ষাক্ষেত্রেও তারা অনেক পিছিয়ে। শিক্ষিতের হার প্রায় ৩০%। হাজংদের চেহারায় মঙ্গোলীয় ছাপ আছে। হাজংরা মধ্যমাকৃতির, হূষ্টপুষ্ট ও মাংশল দেহের হয়ে থাকে। এদের মাথার চুল ঘন ও কালো। তারা বেশ হাসিখুশি। 

তারা হাজং ভাষা এবং বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকে। হাজং ভাষার লিখিত রূপ নেই এজন্য অসমীয় বর্ণমালায় হাজং ভাষার লিখিত রূপ দেয়। হাজং নারীরা ‘পাথিন’ নামক এক ধরনের পোশাক পরে। যা বিভিন্ন রংয়ের সংমিশ্রণে তাঁতে বোনা ডোরাকাটা মোটা কাপড়, যা দৈর্ঘ্যে সাড়ে তিন হাত এবং প্রস্থে আড়াই হাত হয়ে থাকে। এই পাথিন হাজং নারীরা বক্ষবন্ধনী হিসাবেও ব্যবহার করে। হাজং নারীরা শীতকালে হাতে বোনা চাদর ব্যবহার করে যাকে বলা হয় আর্গন। এছাড়া কাজের সময় বিশেষ করে আমন ক্ষেতে চারা বপনকালে হাজং নারীরা বানং নামে এক ধরনের কোমরবন্ধনী ব্যবহার করে।


হাজংদের বসবাসের ঘর সাধারণত বাঁশ, কাঠ, শণ প্রভৃতির সাহায্যে বানানো হয়। হাজং বাড়িতে সৃষ্টিকর্তাকে প্রণাম জানানোর জন্য আলাদা একটি ঘর থাকে। একে বলে ‘দেওঘর’। প্রতি সন্ধ্যায় হাজংরা দেওঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে ধুপধুনা পুড়িয়ে সৃষ্টিকর্তাকে প্রণাম করে।

আমিষ ভোজী হাজংদের প্রিয় খাবার বিন্নী চালের ভাত এবং শুঁটকি মাছ।

হাজং নারীরা পৌষ ও চৈত্রসংক্রান্তিতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে এবং এইগুলির নাম মুছি পিঠা, পুনি পিঠা, পাতি পিঠা, ডিক্রি পিঠা, চা পিঠা ইত্যাদি। হাজং সমাজ পিতৃতান্ত্রিক। 

হাজং সমাজে পঁচুই মদের প্রচলন রয়েছে। হাজং সমাজ পিতৃতান্ত্রিক। কোনো বিধবা হাজং যদি পুনর্বিবাহ না করেন, তবে তিনি তাঁর স্বামীর সম্পত্তির অধিকারী হন। হাজংরা যৌথ পরিবারে বাস করে। তবে বর্তমানে অনেকেই একক পরিবার গঠনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। গ্রামের বয়স্ক, সচ্ছল ও বিজ্ঞ ব্যক্তিকে গাঁওবুড়া বা গ্রামপ্রধান নির্বাচন করা হয়। তিনি তাঁর অধীন গ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেন।

এক বিবাহ হাজং সমাজে স্বীকৃত প্রথা; তবে প্রথম স্ত্রীর অনুমতিক্রমে পুরুষ দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে। হাজং সমাজে বিধবা বিয়ের প্রচলন আছে।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও টঙ্ক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে হাজংরা। কুমুদিনী হাজং ও যাদুমণি হাজং টঙ্ক আন্দোলন এবং জমিদারবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এই আন্দোলনে রাসিমণি হাজং প্রথম শহীদ হন।

সূত্র: বাংলাপিডিয়া

//এল//

বিনা অভিজ্ঞতায় ব্যাংকে চাকরি

নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী!

গরমে প্রশান্তি দেবে তেঁতুল গুড়ের শরবত

তীব্র গরমে ট্রেনের ব্রেকে আগুন, আহত ১০

স্ত্রীকে ২০০ টুকরার পর গুগলে জানতে চাইলেন লাভ-ক্ষতি

‘শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে’

রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আজ

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আজ

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে

গরমে চা খাওয়া কি ঠিক?

তাপমাত্রা কমাতে হিট অফিসারের নতুন উদ্যোগ

কোথায় হবে অনন্ত এবং রাধিকার বিয়ে?