ফাইল ছবি
রাজধানীর বনানীতে ২৩ নম্বর সড়কের ৮৪ নম্বর বাড়ির সাততলার ফ্ল্যাটে গৃহকর্মী কিশোরীকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নারীবাদি সংগঠন বাংলাদেশ পরিষদ। একইসঙ্গে জড়িতের দ্রুত গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবারের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত সংবাদের বরাতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার তানিয়ার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কমলাকান্দায় এবং গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়ত। মাসখানেক আগে অভিমান করে তানিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর সে ঢাকার বনানীতে ২৩ নম্বর সড়কের ৮৪ নম্বর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ পায়। পরিবার তাকে না পেয়ে তার বড় বোন নাসিমা তানিয়ার নম্বরে ফোন করলে অপরিচিত এক নারী ধরে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করে। সেখানে গৃহকর্ত্রী সামিনা আলম তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। তাকে জোর করে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানোর চেষ্টা করা হত। মারধর করার সময় চিৎকার করলে তালুতে সুপারগ্লু মেখে দুই হাত একসঙ্গে করে দিত ও মুখে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হতো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে তার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বনানী থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি তানিয়ার বাবাকে ফোন করে এবং তার মেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য আকুতি জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ফোন করে তানিয়াকে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলা করতে চাইলে নির্যাতনের শিকার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় পুলিশ বিষয়টিকে সমঝোতা করতে বলে এবং মামলা না করার জন্য বলে।
নারী ও কন্যার প্রতি বর্বর নির্যাতনের ঘটনাসমূহ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘গৃহকর্মীকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় মামলা গ্রহণ না করে টাকার বিনিময়ে মীমাংসা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে মামলা গ্রহণ না করে মীমাংসা করায় নির্যাতনের শিকার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
গৃহকর্মী কিশোরীকে নির্যাতের ঘটনায় মামলা গ্রহণসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনাীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানানো হয়।
ইউ