
ছবি সংগৃহীত
কচি কলাপাতা রঙের ধূমকেতু (নিশিমুরা) পৃথিবীর সঙ্গে দেখা করতে আসছে। হাজার বছর অন্তর অন্তর আমাদের সৌরজগতে অতিথি হয়ে আসে ধূমকেতুরা। ৪৩৭ বছর পরে পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে ধূমকেতু নিশিমুরা।
এই নামকরণ করেছে জাপান। ১১ আগস্ট আকাশে প্রথম এই ধূমকেতু আবিষ্কার করেছিলেন জাপানি জ্যোতির্বিদ হিদিও নিশিমুরা। একটি অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে তিনি এই ছবি তুলেছিলেন। তার নামেই এই ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, আজ ও কাল পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে নিশিমুরা। দৈর্ঘ্যে এক কিলোমিটারের মতো। পৃথিবীকে প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে ‘হ্যালো’ বলে চলে যাবে নিশিমুরা।
এই ধূমকেতুটিকে দেখার জন্য কোনো উন্নত টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে না। খালি চোখেই তা দেখা যাবে। মার্চ মাসেই সৌরজগতে ঢুকেছে সেই ধূমকেতু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ পর্ব শেষ হতে চলেছে। রাতের দিকেই পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা হিমালয়ান চন্দ্রা টেলিস্কোপে এই ধূমকেতুর দিকে নজর রাখছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক আকাশ আলো ছড়িয়ে পৃথিবীর উপর দিয়ে উড়ে যাবে এই ধূমকেতু।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, কুইপের বেল্ট বা ওরট ক্লাউড থেকে বেরিয়ে মহাশূন্যে ঘুরতে ঘুরতে সৌরমণ্ডলে ঢুকে পড়েছে এই ধূমকেতু। ব্রহ্মাণ্ডের হিমশীতল এলাকা থেকে তার আগমন। এই ধূমকেতুরা হল সেলিব্রিটি। কালেভদ্রে দেখা দেয়। হুশ করে ভেসে আসে আবার ঠিকানা বদলে চলে যায় কোনো এক অজানার পথে। দূর তারামণ্ডল থেকে পথ হারিয়ে পৃথিবীর সৌরমণ্ডলের ঢুকে পড়ে বহু বছরে হয়ত একবার। যখনই তারা আসে সঙ্গে করে একরাশ বিস্ময় নিয়ে আসে। নাড়িয়ে দিয়ে যায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীমহলকে। মে মাসেই ‘সোয়ান’ নামে এক ধূমকেতু দেখা দিয়ে গিয়েছিল পৃথিবীর আকাশে। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেছিলেন ‘রাজহাঁস।’ এবার গোটা আকাশ সবুজ আলোয় ভরিয়ে দেবে নিশিমুরা। সংবাদ প্রতিদিন
ইউ