
ফাইল ছবি
দেশ গঠন ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে দেশে পুনরায় গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে কুমিল্লার দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ১৫ বছরের 'স্বৈরাচার' বিতাড়িত করার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান এখন থেকে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দলকে পুনর্গঠনের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
প্রতিবেদনের মূল পয়েন্টসমূহ:
১. ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ও গুপ্ত স্বৈরাচারের সতর্কতা:
-
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশ গঠনে এখন ঐক্যের বিকল্প কিছু নেই।
-
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সবাই ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে।
-
নেতাকর্মীদের প্রতি তাঁর আহ্বান—গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।
২. স্বৈরাচার পতন ও দেশ পুনর্গঠনের গুরুত্ব:
-
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর দেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।
-
তিনি বলেন, দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে পরিচালিত করতে হলে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
-
তিনি দেশকে 'ঘর'-এর সাথে তুলনা করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই ঘরে 'ডাকাত' পড়েছিল, যাকে জনগণ বিতাড়িত করেছে।
-
তিনি বলেন, এখন এই দেশকে গঠন করতে হবে, কারণ এই দেশ আমাদের সবার।
৩. জনগণের কাছে যাওয়ার নির্দেশ:
-
রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দেশের মূল শক্তি জনগণের কাছে যাওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।
-
শুধুমাত্র মিটিং বা সমাবেশ করে নয়, দুইজনের, তিনজনের ছোট টিম করে করে জনগণের দুয়ারে যেতে হবে।
৪. পুনর্গঠন বার্তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা:
-
জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে যে, বিএনপি সমর্থন পেলে কীভাবে পুরো দেশকে গঠন করবে।
-
যেসব বিষয়ে জনগণকে জানাতে হবে:
-
জনগণের সন্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
-
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
-
দেশের নারীদের ক্ষমতায়ন।
-
কৃষকদের পাশে এসে বিএনপির অবস্থান।
-
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
-
৫. বিএনপির মূল লক্ষ্য:
-
বিএনপির লক্ষ্য এখন একটি: ঐক্য, জনগণ এবং দেশ গঠন।
৬. স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস স্মরণ:
-
তিনি দেশের ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে আসা স্বৈরাচারদের পতন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন।
-
বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারকে দেশের জনগণ বিতাড়িত করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
৭. নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগ:
-
আন্দোলনে নেতাকর্মীদের হত্যা, খুন, গুম, নির্যাতনের শিকার হওয়া এবং হাতকড়া পরা অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করার কথা স্মরণ করেন।
-
হাজারো নেতাকর্মীর পঙ্গুত্ব বরণের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, এখন সামনে দেশ গঠনের পালা।
ইউ