ঢাকা, বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার, , ২২ মে ২০২৫

English

রাজনীতি

ইশরাককে দ্রুত শপথ দেয়ার আহ্বান

ইশরাক শপথের সিদ্ধান্ত রাজনীতিতে মোড় ঘোরাবে

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২২ মে ২০২৫

ইশরাককে দ্রুত শপথ দেয়ার আহ্বান

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে এবং এখন আর ইশরাক হোসেনকে শপথ না দেয়ার কোনো বাধা নেই। তাই দ্রুত শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করে জনগণের স্বস্তি বিবেচনায় সরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দিলে এই প্রতিক্রিয়া দেন মির্জা ফখরুল। বর্তমানে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বলেন, ‘এই রায়ে গণতন্ত্রের আরেকটি বিজয় হয়েছে। ঢাকাবাসী ইশরাককে তাদের মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অনেক আগেই, এখন সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে এই রায়ের বাস্তবায়নে।’

আইনগত প্রেক্ষাপট ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইকোর্টের রায়ের পরও যদি ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানো হয়, তবে তা হবে আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘন, যা সংবিধান ও আইনের দৃষ্টিতে চরম অবমাননাকর। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হতে পারে। প্রশাসনিক জটিলতাও বাড়বে। একজন বৈধভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে শপথ না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটাতে পারে, এবং তা ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

শপথ দিলে কী হতে পারে রাজনৈতিক অঙ্গনে!
রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, ইশরাক হোসেনের শপথ শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং তা বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির জন্য একটি প্রতীকী বিজয়। এটি সরকারের ওপর জনমতের চাপ বাড়াবে এবং বিরোধী জোটের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে। আবার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রতিনিধি স্থাপন করতে পারবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সমাধান ও ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা
বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এবং রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই পক্ষের মধ্যেই সংলাপ ও সহনশীলতা জরুরি। একদিকে সরকারের উচিত আদালতের রায় মেনে ইশরাককে শপথ পড়ানো, অন্যদিকে বিরোধী দলের উচিত রাজপথ ছেড়ে শান্তিপূর্ণ সাংবিধানিক আন্দোলনের দিকে ফিরে যাওয়া।

সর্বোপরি, শপথ না দেয়া যেমন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি শপথের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে - যা দীর্ঘমেয়াদে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম

উপদেষ্টা আসিফ, মাহফুজের সঙ্গে খলিলুরের অব্যাহতি চাইল বিএনপি

আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

প্রত্যেককেই হিসাব দিতে হবে, হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

জসীমের বিদায়, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম

বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম

জুলাই থেকে সারাদেশে এক দামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনকে হয়রানি ও হুমকির তীব্র নিন্দা 

এনবিআর এখনই বিলুপ্ত হচ্ছে না: অর্থ মন্ত্রণালয়

‘চা বাগানের শ্রমিকদের কষ্টের পেছনে রয়েছে ‘পলিটিক্স’

সন্তানের মানসিক বিকাশে ‘মায়ের’ ভূমিকা

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত গ্রহণ

সাবেক মন্ত্রী আমুর খালাতো ভাই গ্রেপ্তার

আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাকের