
ফাইল ছবি
সরকারি চাকরি আইনে পরিবর্তন আনতে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপনায় প্রণীত এই খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়বস্তু নিয়ে সরকার এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে আগের খসড়ায় সরকারি কর্মচারীদের অসদাচরণের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব ছিল।
তাতে বলা হয়েছিল, কোনো সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কাজে অনুপস্থিত থাকেন বা অন্যকে কর্তব্য পালনে বিরত থাকতে উসকানিমূলক আচরণ করেন— এমন প্রমাণিত হলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারণ বা পদাবনমনের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
তবে চূড়ান্ত অনুমোদিত খসড়ায় এই প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করেনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংশোধনের এই অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
একই বৈঠকে আরও দুটি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’।
এছাড়া বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈঠকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এই সুপারিশগুলোর বাস্তবায়নযোগ্যতা, সম্ভাব্য সময়সীমা এবং সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করে মতামত দিতে হবে। এসব মতামতের সমন্বয় করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সরকারি চাকরি আইনের এই সংশোধন জনপরিসরে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে, বিশেষ করে শৃঙ্খলাভঙ্গের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মীদের প্রতিক্রিয়ার দিকেও এখন দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
ইউ