
ছবি সংগৃহীত
সেনেগালে শুরু হয়েছে 'স্কুল ফর হাসবেন্ড' নামে একটি অভিনব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘের এই উদ্যোগে স্বামীদের শেখানো হয় কিভাবে ভালো জীবনসঙ্গী হতে হয়, গৃহস্থালি কাজে সহযোগিতা করতে হয় এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে হয়।
কেন এই স্কুল?
-
সেনেগালসহ পশ্চিম আফ্রিকার অনেক দেশে পুরুষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়
-
পরিবার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে নারীদের মতামত কম নেওয়া হয়
-
মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর উচ্চ হার কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ
কী শেখানো হয়?
ইমাম ইব্রাহীম ডায়ান ক্লাসে শেখাচ্ছেন:
-
"নবীজি (সা.) বলেছেন, যে পুরুষ স্ত্রী-সন্তানকে কাজে সাহায্য করে না, সে ভালো মুসলিম নয়"
-
গৃহস্থালি কাজে অংশগ্রহণের গুরুত্ব
-
প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ সমতার বিষয়ে সচেতনতা
-
এইচআইভি প্রতিরোধ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধ
সাফল্যের গল্প
-
৬০ বছর বয়সী হাবিব ডিয়ালো এখন তার পুত্রবধূর প্রসবকালীন যত্ন নেন
-
খারি নডেয়ের স্বামী এখন রান্নাসহ অন্যান্য গৃহস্থালি কাজে সহযোগিতা করেন
-
ইতোমধ্যে ৩০০ পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে
পরিসংখ্যান ও লক্ষ্য
-
বর্তমানে প্রতি লাখ প্রসবে ২৩৭ জন মায়ের মৃত্যু হয়
-
প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে ২১ জন জন্মের প্রথম মাসেই মারা যায়
-
২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ৭০ এর নিচে এবং নবজাতক মৃত্যু ১২ এর নিচে নামানোর লক্ষ্য
জাতিসংঘের সমন্বয়ক এল হাদজ মালিক বলেন, "পুরুষদের মানসিকতা পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ, কিন্তু আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে শুরু করেছি।"
এই কর্মসূচি এখন সেনেগাল ছাড়াও নাইজার, টোগো ও বুরকিনা ফাসোতে চালু হয়েছে। সেনেগাল সরকার এটিকে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমানোর গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করছে।
ইউ