ঢাকা, বাংলাদেশ

সোমবার, , ১২ মে ২০২৫

English

জাতীয়

৮ মাসে ধর্ষণের শিকার ৪৯৩টি শিশু

সুকুমার সরকার:

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৮ মাসে ধর্ষণের শিকার ৪৯৩টি শিশু

শিশু ধর্ষণ -------------------------------------- ছবি: সংগৃহীত

একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত ৮ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৩টি শিশু এবং গণধর্ষণের কবলে পড়েছে ৭২টি শিশু।এছাড়া ১০১টি কন্যাশিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। মাঝে-মধ্যে বলাৎকার কাণ্ডেরও খবর মেলে। ধর্ষণকাণ্ডে প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু রয়েছে ৩৯টি। এছাড়া প্রেমের  ফাঁদে ফেলে ৭০টি কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই সময়কালে পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ৩০ কন্যাশিশু। গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি সংস্থা জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং প্রকাশনা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এই সময়ে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ২টি, অপহরণ ও পাচারের শিকার  ১০৪টি কন্যাশিশু। এর মধ্যে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ২৬০টি, আর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে ২১টি। এছাড়া বাল্যবিয়ে হয়েছে- কিন্তু অভিভাবকরা স্বীকারোক্তি দেয়নি এমন কন্যাশিশুর সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫টি। তবে, সংস্থাটি জানিয়েছে ২০২২ সালের তুলনায় ২৩ সালে বাল্যবিয়ের সংখ্যা কমেছে ২৬ শতাংশ। চলতি বছরের গত ৮ মাসে মোট ২৬ জন গৃহশ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার; ৩ জনকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১০ জন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

গত ৮ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ৩৬টি কন্যাশিশু। এছাড়া নানামুখি চাপে এই সময়ে আত্মহত্যা করে আরও ১৮১টি। গত ৮ মাসে ১৩৬ টি কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়। এর অন্যতম কারণ ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আগে থেকে পারিবারিক শত্রুতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন বিবিধ। গত ৮ মাসে ১১ কন্যাশিশুকে বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটেছে। এছাড়া, এ বছর এখন পর্যন্ত ৩০৭টি কন্যাশিশুর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জন কন্যাশিশুর এবং ৪৭ জন কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশের ৭০টি দৈনিক পত্রিকা এবং মাঠ পর্যায় থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ১৭টি ক্যাটাগরির আওতায় ৭০টি সাব-ক্যাটাগরিতে এসব তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের বিভিন্ন ধারায় নারী ভুক্তভোগীর ক্ষেত্রে মামলা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার। ৬৫ শতাংশের বেশি মামলা যৌতুক ও ধর্ষণের অভিযোগ। এই আইনে শিশু ভুক্তভোগী এমন মামলা হয়েছে ১ হাজার ৮৮৮টি।

২০২২ সালে উচ্চ আদালতের তথ্যানুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৯৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৩১টি। সবচেয়ে বেশি বিচারাধীন মামলা রয়েছে ঢাকার ৯টি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে, এ সংখ্যা ১৮ হাজার ২৫টি। নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে ৯টি সুপারিশও করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈনুদ্দিন মাইনুল, সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সেক্টরের কর্মকর্তা ড. লিমা রহমান, চাইল্ড রাইটস স্পেশালিস্ট অ্যান্ড অ্যাক্টিভিস্ট টনি মাইকেল গোমেজ, অ্যাডুকো বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি প্রমুখ।

//জ//

সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম

ভিপিএন: প্রযুক্তির স্বাধীনতা ও সুরক্ষায় একটি দ্বিমুখী তলোয়ার

ঈদযাত্রা: ২১ মে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু

 আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

লঞ্চঘাটে দুই তরুণীকে মারধর: জড়িতদের শাস্তি দাবি

পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শিবগঞ্জ মহিলা কলেজের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান

বেনাপোলে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী জব্দ

আরো জলবিদ্যুৎ ও নেপালের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে চায় বাংলাদেশ

কুয়েটে অনবরত আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা

শুল্ক কমানোর চুক্তিতে ঐক্যমত পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

জুলাই-আগস্টের সব হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার: চিফ প্রসিকিউটর

ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত সম্পদের ব্যাপারে জানালেন প্রেস সচিব

নোয়াখালীতে প্রকল্পের মাটি বিক্রির অভিযোগ