
ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নারীর জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধ করা এবং জেন্ডার-সংবেদনশীল নীতি প্রণয়নে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে জাতিসংঘ নারী সংস্থার (ইউএন উইমেন) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিংহ সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা কেয়ার ইকোনমির চ্যালেঞ্জ, নারীর নেতৃত্ব বিকাশ এবং সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসহ নানা অগ্রাধিকারমূলক বিষয়ে আলোচনা করেন। উভয় পক্ষ এ বিষয়গুলোতে সহযোগিতা জোরদারের ব্যাপারে সম্মত হন এবং টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় আরও উল্লেখ করা হয় যে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সুশীল সমাজের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএন উইমেনের অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। লক্ষ্য হলো— জেন্ডার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর কণ্ঠস্বরকে জোরদার করা এবং এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে নারীরা সহিংসতা ও বৈষম্যমুক্তভাবে বিকশিত হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জেসমিন নাহার এবং জাতিসংঘ নারী সংস্থার (ইউএন উইমেন) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউ