
ছবি সংগৃহীত
প্রশাসন ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা রেহানা পারভীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নিযুক্ত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিয়োগের প্রেক্ষাপট
-
পূর্ববর্তী সচিবের প্রত্যাহার: গত ২৩ জুলাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে সাবেক সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে প্রত্যাহার করা হয়। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার পর এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত না করায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
শূন্য পদ: এরপর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব পদটি শূন্য ছিল। অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রেহানা পারভীনের প্রোফাইল
-
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।
-
কর্মজীবন:
-
১৯৯৪ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদান।
-
অর্থমন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (এনএসডিএ) দায়িত্ব পালন।
-
বর্তমানে এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব
-
২০১৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ৭ জন সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন, যাদের সবাই ছিলেন পুরুষ।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ৩৩ জন সচিব/সিনিয়র সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করলেও রেহানা পারভীনই প্রথম নারী।
চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা
-
তাত্ক্ষণিক চ্যালেঞ্জ: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির পর শিক্ষার্থীদের আস্থা ফিরে পাওয়া এবং এইচএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাস।
-
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য: শিক্ষা ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর ও কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেহানা পারভীনের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণ শিক্ষা খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতাও মোকাবিলা করতে হবে।
ইউ