
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপ আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করেছে। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ১৭ দিন পর সোমবার (১৮ আগস্ট) ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশনের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে বিরোধী দল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই নির্বাচনকে "প্রহসন" ও "সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা" বলে অভিহিত করেছে।
নির্বাচনের মূল তথ্য
-
তারিখ: প্রথম ধাপ ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, পরবর্তী ধাপের তারিখ পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।
-
প্রেক্ষাপট: ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকার উৎখাতের পর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। জান্তা দাবি করছে, নির্বাচন সংঘাত নিরসনের পথ।
-
চ্যালেঞ্জ: দেশের ৪০% এলাকা গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রণে, যারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া
-
বিরোধী দলের অবস্থান: সু চির দল এনএলডি সহ প্রধান বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বয়কট করবে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এটিকে "প্রতারণা" বলে আখ্যায়িত করেছেন।
-
আন্তর্জাতিক সমালোচনা: পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে জান্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
-
জান্তার কৌশল: বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণের জন্য নগদ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী সহিংসতার জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
রাখাইনে আরাকান আর্মির হুঁশিয়ারি
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা জান্তার নির্বাচন অনুমোদন করবে না। তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৪টি টাউনশিপে ভোটাধিকার প্রয়োগ বন্ধ করা হবে।
মানবিক সংকট ও নির্বাচনের সম্ভাবনা
-
হতাহত: গৃহযুদ্ধে কয়েক হাজার নিহত ও ৩৫ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত।
-
নির্বাচনী প্রস্তুতি: আদমশুমারিতে ১.৯ কোটি মানুষের তথ্য সংগ্রহ ব্যর্থ হওয়ায় ভোটার তালিকা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং এর পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্বাচনের পর তিনি প্রেসিডেন্ট বা সেনাপ্রধান হিসেবে ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ইউ