
ছবি সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সাবেক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদসহ পুলিশের ১৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে "পলায়ন ও দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি"র অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৭ আগস্ট (রবিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এ আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোরপোষ ভাতা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে 4।
বরখাস্তের কারণ ও প্রক্রিয়া
-
আইনি ভিত্তি: সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(গ) ধারা অনুযায়ী "পলায়ন"কে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে বিধি ১২(১)-এর অধীনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
-
অনুপস্থিতির সময়সীমা: কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য না দেওয়াকে অভিযোগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
খোরপোষ ভাতা: বরখাস্তকালীন সময়ে কর্মকর্তারা তাদের বেতনের একটি অংশ ভাতা হিসেবে পাবেন।
হারুন অর রশিদের বিতর্ক
-
অবৈধ সম্পদ তদন্ত: সম্প্রতি দুদক হারুনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। ঢাকা, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও জেদ্দায় তার বাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লট থাকার প্রমাণ মিলেছে।
-
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ: বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হারুন ও তার পরিবারের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করেছে।
-
রাজনৈতিক সংযোগ: গত বছর বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন।
অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবস্থান
প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তকৃত বাকি ১৭ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করলেও, তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
-
তদন্তের গতি: দুদকের পাশাপাশি পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বিভাগও এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
-
আইনি লড়াই: বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা আদালতে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
ইউ