
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে তরুণদের ক্ষমতায়ন, যুবকদের সম্পৃক্ততাকে অর্থবহ করা এবং যুব-কেন্দ্রিক নীতিমালা জোরদার করার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
সোমবার (১৯ মে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াঁর উপস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই সমঝোতা স্মারকটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এবং ইউএনএফপিএ এর মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি কৌশলগত কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশ কিছু বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করবে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় যুব-নীতি এবং এর কর্মপরিকল্পনা সংশোধন, যুব-নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলির একটি সমন্বিত ডাটাবেজ তৈরি এবং যুব ও জেন্ডারের ভিত্তিতে জনসংখ্যার উপর তথ্য উৎপাদন ও ব্যবহার ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের-এর সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে আমাদের চলমান প্রচেষ্টায় ইউএনএফপিএ এর সাথে এই অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় যুব নীতি ২০১৭ অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক। যেহেতু প্রথম পর্যালোচনা ২০২২ সালে হওয়ার কথা ছিল, যুব উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি জোরদার করতে এটি একটি সময়োপযোগী সুযোগ।’
ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি মি. মাসাকি ওয়াতাবে, যুব উন্নয়ন এজেন্ডায় সরকারকে সমর্থন করার জন্য সংগঠনের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন। মি. ওয়াতাবে বলেন, জাতিসংঘ পরিবারের অংশ হিসেবে, ইউএনএফপিএ সরকারকে এমন তথ্য এবং সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত যা তরুণদের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে সক্ষম করে তুলবে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ, বিশেষ করে কিশোরী মেয়েরা বাল্যবিবাহের মতো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়, যা তাদের শিক্ষা এবং বিকাশের সুযোগ সীমিত করে। এই সমঝোতা স্মারক, নীতি সংস্কারকে সমর্থন করে যা তরুণ নারী ও পুরুষদের ক্ষমতাইয়িত করবে, শিক্ষা, কর্মশক্তি এবং নাগরিক জীবনে তাদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে এবং যুব নেতৃত্ব ও প্রজন্মের মধ্যে আন্তঃসংলাপের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা প্রচার করবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, ‘এই সহযোগিতা বাংলাদেশে যুব ক্ষমতায়নের জন্য একটি সময়োপযোগী এবং কৌশলগত পদক্ষেপ। আমাদের যুবসমাজের জন্য বিনিয়োগ করে এবং নীতি নির্ধারণে অবদান রাখার জন্য তাদের একটি প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের জন্য তাদের আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে পারি। এর মধ্যে রয়েছে তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতির সাথে তাল মেলাতে পারে। একই সাথে, পরিবেশ উন্নয়নে দক্ষতা এবং উদ্ভাবন প্রচারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টভ সুযোগগুলিকে কাজে লাগানো।’
জাতীয় যুব নীতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি, এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হল জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে যুব অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া কার্যকর করা যাতে করে নীতি ও কৌশল গঠনে তরুণদের অর্থপূর্ণ ভূমিকা থাকে। তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগের জন্য সমন্বয়, গ্রহণযোগ্যতা এবং সমর্থন বাড়ানোর জন্য যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলির একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
এই অংশীদারিত্ব যুব ও জেন্ডার তথ্যের উপর ভিত্তি করে তথ্যপত্র তৈরির উপরও জোর দেবে যা প্রমাণ-ভিত্তিক অ্যাডভোকেসি এবং কার্যক্রম পরিকল্পনা করতে সহায়ক হবে। এসব প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শুধু সহায়তাই করবে না বরং এটি জাতিসংঘের যুব কৌশল ইয়ুথ ২০৩০ যা তরুণদের জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নে পরিবর্তনের মূল এজেন্ট হিসাবে অবস্থান করে তার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনীমূলক এবং কার্যকরী ফলাফল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকে বর্ণিত কার্যক্রম বাস্তবায়নেইউএনএফপিএ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
ইউ