
সংগৃহীত ছবি
কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত যখন পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এবং পাকিস্তান পাল্টা গোলাবর্ষণ করে, তখন দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থা প্রায় দৃশ্যমান। এ প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষকে সংযম ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার (৭ মে) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমরা উভয় দেশকে অনুরোধ জানাচ্ছি, যেন তারা উত্তেজনা বাড়ায় না এবং সংযমের পরিচয় দেয়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আঞ্চলিক শান্তি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বাংলাদেশ আশা করছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হবে এবং শান্তিই প্রতিষ্ঠা পাবে।”
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পরমাণু অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশীর সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ভার বিশ্ব বহন করতে পারবে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখার কথা জানান।
চীন দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।
জাপান কাশ্মীর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “যদি হামলা-পাল্টা হামলা চলতে থাকে, তাহলে তা পুরো দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিরতায় ফেলবে।”
সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানও একই সুরে দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইসলামাবাদের পর এবার ভারত সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি দেশটির রাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
//এল//