
ফাইল ছবি
বয়সটা হয়তো ষোল নয়তো কুড়ি
কুমারী জলে বাল্য সুখে কুড়াবো ধুই নুড়ি
পদ্মদিঘিতে ভাসবো দু'জনে লোবান মাখা রাতে
সোনালু জারুল পারুলের ভেজা দুটি হাতে।
খইরঙা হাঁসের ডাকাবুকো মুখে তরুণ সকালে
ফসলের ওমে রইবো বিভোর শিউলিস্নাত বিকালে
তিতির দুপুরে ধুয়ে নেব ঝুটা টুটা সব অভিমান
জাফরানি সৌরভে গাইবো দুজনে শাপলা শালুক গান।
চালতাফুলের ঘ্রাণে জেগে উঠবে ডাহুকির প্রান্তর
রূপালি আলোর মৌ মৌ সুখে কাঁপবে দুটি অন্তর
রেললাইন বেয়ে হেঁটে যাব মাুসাফির আলপথে
গোমতী ধলেশ্বরীর লাল আঁচলের দ্বৈরথে।
ময়ূরপঙ্খি নাঁয়ে নয়তো বেহুলা-লখিন্দরের ভেলায়
মাতবো দু'জনে বাল্যগাঁয়ে হাডুডু কানামাছি খেলায়
বৃষ্টিকাতর কদমগুচ্ছ নিয়ে শুধাবে নির্বাক চোখে
এক জনমে নয়, জনমে জনমে চাইগো শুধুই তোকে।
বকুল বিছানো মায়াকাননের দিপীত কমলবনে
যক্ষপ্রিয়ার বিরহ ঘুচাবো সুরভিত মৌবনে
বৃষ্টির ফোঁটায় ঝরবে কথা এলোমেলো একেবেঁকে
মরচে পরা অতীত ধুয়ে নেব দুরন্ত বৈশাখে ।
ভবঘুরে শব্দ কবিতা বাঁধে ঘর সপ্তসুরে
প্রজাপতি ডানায় রঙধনু হিয়ায় ছুটবো অচিনপুরে
শ্যামলে সুনীলে ঠাঁই নেব পালতোলা এক ঘরে
সোনা রোদ্দুর ডিগবাজি খাবে বাকবাকুম সুরে।
ভাসবো জলগানে নুপূর কলতানে মধুমতির গাঙচিলে
ডুববো প্রিয়তমা তোর বাঁ গালের ওই তিলে
দেনাজর্জর এলাচিপুরের শালিখ দোয়েল ঘোরে
আদম-হাওয়ার স্রোতে ভেসে যাব গন্ধম সুবাস ভোরে।
ইউ