ঢাকা, বাংলাদেশ

রোববার, , ১৮ মে ২০২৫

English

বিদেশ

নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন

তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জোরালো

তুরস্কের বিরুদ্ধে ভারতের ক্ষোভ

উইমেনআই২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:২১, ১৭ মে ২০২৫; আপডেট: ১৯:২২, ১৭ মে ২০২৫

তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জোরালো

ছবি সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করেছে তুরস্ক। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার এই ঘনিষ্ঠতা শুধু কৌশলগত নয়, দক্ষিণ এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তুরস্কের প্রভাব বিস্তারেরও ইঙ্গিত বহন করে।

গত ৭ মে ভারতের ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে’ পাকিস্তানে চালানো হামলার পরদিনই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফোনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান যে সংযম দেখিয়েছে, তুরস্ক তার প্রশংসা করে এবং এই উত্তেজনা প্রশমনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।’

১৪ মে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এরদোয়ান লেখেন, ‘বিতর্ক নিরসনে সংলাপ ও সমঝোতার পথ বেছে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সংবেদনশীল ও ধৈর্যশীল নীতির প্রশংসা করি। ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকবো।’

জবাবে শাহবাজ শরিফ তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়ে এরদোয়ানকে ‘প্রিয় ভাই’ বলে অভিহিত করেন।

এই রাজনৈতিক সমর্থন সামরিক স্তরেও প্রতিফলিত হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৯ ও ১০ মে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে তুরস্কের ‘আসিসগার্ড’-এর তৈরি ‘সোঙ্গার’ ড্রোন ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পাকিস্তান-তুরস্ক যৌথভাবে তৈরি ‘ওয়াইআইএইচএ-৩’ আত্মঘাতী ড্রোনও ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক উমের করিম।

তিনি আরো বলেন, সংঘাত দীর্ঘ হলে আরো উন্নত ‘টিবি-২’ ও ‘আকিনসি’ ড্রোন ব্যবহারের সম্ভাবনাও ছিল।

পাকিস্তান বর্তমানে তুরস্কের অন্যতম প্রধান অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। মিলজেম চুক্তির আওতায় চারটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ হচ্ছে, যার দুটি পাকিস্তানেই তৈরি হচ্ছে। এছাড়া এফ-১৬ ও সাবমেরিন আধুনিকীকরণেও তুরস্কের অংশগ্রহণ রয়েছে।

আঙ্কারাভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘এসইটিএ ফাউন্ডেশনের’ গবেষক গ্লোরিয়া ওজদেমির মতে, এই সহযোগিতা কেবল সামরিক নয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারেও ভূমিকা রাখছে।

তুরস্কের এই অবস্থানে ভারতের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক ভারতীয় পর্যটক তুরস্ক ও আজারবাইজান সফর বাতিল করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত হওয়ায় এবং প্রতিরক্ষা বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র থাকায় তুরস্ক পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেছে। পাকিস্তানও তুরস্কের আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্বার্থে পাশে থেকেছে — বিশেষ করে সাইপ্রাস ও আর্মেনিয়া ইস্যুতে।

গ্লোরিয়া ওজদেমির মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ায় তুরস্কের উপস্থিতি জোরদার করতে এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন কৌশলগত সুযোগ তৈরি করতে সহায়ক। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কেও পাকিস্তান একটি 'সংযুক্ত সেতুবন্ধন' হিসেবে কাজ করছে।

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা শুধু ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে — যেখানে তুরস্কের ভূমিকা ক্রমেই প্রভাবশালী হয়ে উঠছে।

ইউ

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯

ভারত-পাকিস্তান নিয়ে নতুন পরিকল্পনায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ

অফিসার পদে চাকরি দেবে সীমান্ত ব্যাংক

মতিঝিলে ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিয়ে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

নারীর জীবনমান: সুস্থতা, স্বাধীনতা ও সম্মানের সমন্বয় জরুরি

বেনাপোলে সাড়ে ৬০ লক্ষ টাকার ভায়াগ্রা পাউডার জব্দ

বিয়ের আটদিনের মাথায় আখাউড়া  স্বামীকে খুন, স্ত্রী আটক

‘নির্বাচন কমিশন কখন তফসিল ঘোষণা করবে জনগণ জানতে চায়’

পদত্যাগ করলেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী

শেষ হল টগুমগুর দুই দিনব্যাপী মা দিবসের মেলা

মতিঝিলে ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক আরো জোরালো

সোমবার থেকে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

ঢাকার যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ